সুর ও বানী: তাইওয়ান ভ্রমণের অনুভূতি
  2016-02-04 18:04:08  cri

আমি তাইওয়ানে যাওয়ার আগে ভেবেছি, সেখানকার তাপমাত্রা হয়তো বেইজিংয়ের চেয়ে অনেক উষ্ণ। কিন্তু আমরা যে দিন পৌঁছলাম সে দিন তাইওয়ানে তুষার পড়েছে। ৪০ বছর পর এবার তুষারপাত হয়েছে। তাইওয়ানবাসীরা খুবই খুশি। কারণ অনেকেই কখনো তুষারপাত দেখে নি। অনেকে তুষারপাত দেখার জন্য ভোরে উঠে গাড়ি করে পাহাড়ে উঠেছে। সে দিন আমরা 'সূর্য চন্দ্র হ্রদে' গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে জাহাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বাধ্য হয়ে আবার গাড়ি করে অন্য জায়গায় চলে যাই। ড্রাইভার আমাকে বলেছেন, ১৫ বছর পর সূর্য চন্দ্র হ্রদে আবার এতো ঘন কুয়াশা হয়েছে। কি অবাক ব্যাপারে আমরা তাইওয়ানে অনেক অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম।

তাইওয়ান আমার কল্পনায় ছিল এক রোমান্টিক জায়গা। সেখানে রঙিন মেঘ ও গাংচিল যেন এক সাথে খেলে। ঠিক এ গানের মতো। শুনুন তাহলে গানটি।

এবারের সফরে তাইওয়ানে আমি বেশ কয়েকটি মন্দিরে গিয়েছি। এখানে তাও ধর্মের মন্দির আছে, বৌদ্ধ ধর্মের মন্দিরও আছে। এ সব মন্দির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শান্তিময়, পবিত্র। লোকজন শতভাগ আস্থা নিয়ে মন্দিরে যান। সেখানে নিজেদের সুন্দর জীবনের জন্য প্রার্থনা করেন।

মাজু দেবী হলেন চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের হান জাতির এক ধরনের লোক বিশ্বাস। বলা হয়ে থাকে, সমুদ্রে কোনো চীনা মানুষ থাকলে মাজু দেবী সেখানে থাকবেন। তিনি চীনাদের সামুদ্রিক দেবী হিসেবে পরিচিত। তাইওয়ানের অধিবাসীরা মাজু দেবীকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করেন। এ অঞ্চলের নানা জায়গায় মাজু মন্দির দেখা যায়। জেড-পাথর, কাঠ, সোনাসহ নানা সামগ্রী দিয়ে মাজু দেবীর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এ ভাস্কর্যগুলো দেখতে জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষনীয়। অবশ্যই তাইওয়ানে এই মাজু দেবীকে নিয়ে বেশ কিছু গানও রয়েছে। শুনুন তাহলে সে গান।

বন্ধুরা, আমার ৮ দিনের তাইওয়ান সফর খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে। সফরকালে আমি তুষারপাত দেখেছি, ঘন কুয়াশা দেখেছি, হালকা বৃষ্টি দেখেছি, হাসি মুখ দেখেছি, গভীর সাংস্কৃতিক ভাব দেখেছি। দেখেছি আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। (ইয়ু/মান্না)


1 2 3
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040