আমরা কানডিং পার্কে গিয়েছি। এ পার্কটি তাইওয়ান দ্বীপের প্রথম বড় আকারের বনপার্ক। প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করা এবং পর্যটনের জন্য ভালো জায়গা।
বন্ধুরা, এবার শুনুন উ চি নিংয়ের গাওয়া 'কানডিংয়ের বাতাস' নামের একটি গান। তিনি গেয়েছেন, 'কানডিংয়ের বাতাস কখনো এত স্নেহশীল ছিল না। কানডিংয়ের তৃণভূমি কখনো এত সুন্দর ছিল না। আমি বুঝেছি, তুমি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ'।
তেরেসা তেং
তাইওয়ানে গেলে একজনের কথা স্মরণ না করলে চলবেই না। তার নাম তেং লি চুন। ইংরেজী নাম তেরেসা তেং। আমি লক্ষ্য করেছি, তাইওয়ানের অনেক পর্যটন স্মারকবস্তুর দোকান বা জাদুঘরে তেরেসা তেংয়ের ছবি, বই, সিডি বিক্রয় হয়। কারণ গত শতাব্দীতে তিনি ছিলেন গোটা বিশ্বে চীনা সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী কণ্ঠশিল্পী। ১৯৯৫ সালের ৮ মে তিনি হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি চীনা ভাষা, ইয়ুন ভাষা, মিন নান ভাষা, ইংরেজী, জাপানী ও ইন্দোনেশীয় ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় ৩ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। তার অনেক প্রতিনিধিত্বশীল গান অসংখ্য চীনা শ্রোতাদের মনে চিরকালের ক্ল্যাসিক গানে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তাইওয়ান তাকে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দিয়েছে।
শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন তেরেসা তেংয়ের গাওয়া 'নদীর তীরের স্মৃতি' নামের গানটি। এ গানে একজন যুবক নদীর তীরে দাঁড়ানো একটি সুন্দরী মেয়েকে দেখার পর কল্পনার তার মনের নানা কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
এক সময় তাইওয়ানের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান চীনের মূলভূখন্ডে খুবই জনপ্রিয় ছিল। তাইওয়ানের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামও আমরা মুখে মুখে বলতাম। এখন ইন্টারনেটের যুগে এসব তথ্য বিনিময় করা আরো সহজ হয়েছে। আমি এবারের ভ্রমণের সময় তাইওয়ানের টেলিভিশনে চীনের মূলভূখণ্ডের অনেক টিভি চ্যানেল দেখেছি। তাইওয়ানের বইয়ের দোকানে চীনের মূলভূখণ্ডের জনপ্রিয় টিভি নাটক থেকে রচিত বইও দেখেছি। অনেক তাইওয়ানবাসী আমাকে বলেছেন, তারা চীনের মূলভূখণ্ডের টিভি নাটক দেখতে খুব পছন্দ করেন। তারা প্রতি বছর বসন্ত উত্সবের সময় চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য অস্থির হয়ে অপেক্ষা করেন।
তাইওয়ানে যাওয়ার আগে, আমার একজন সহকর্মী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'কেইপ নম্বর সেভেন' সিনেমার শুটিং স্পট দেখতে যাবো কিনা।
কেইপ নম্বর সেভেন
প্রিয় শ্রোতা, 'কেইপ নম্বর সেভেন' হচ্ছে ২০০৮ সালে তাইওয়ানে মুক্তিলাভ করা একটি জনপ্রিয় সিনেমার নাম। আমি এ সিনেমাটি দেখি নি। তবে সহকর্মীর কথা শুনে আমার মনে কৌতুহল জেগে উঠেছে।
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন এ সিনেমার প্রধান গানটি। গানের নামও 'কেইপ নম্বর সেভেন'। এ গানটির শুটিং করা হয়েছে তাইওয়ানের হাংছুন উপদ্বীপে। ২০০৮ সালে তাইপেই চলচ্চিত্র উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একমাত্র এ সিনেমাটিই প্রদর্শিত হয়।
এ সিনেমার প্রধান চরিত্রের নাম আচিয়া। সিনেমাটিত দেখানো হয়, তিনি একাই তাইপেই নগরীতে ১৫ বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু সফল হতে পারেন নি। অবশেষে তিনি হতাশ হয়ে স্বদেশে ফিরে গেছেন। এখন অনেক তরুণ-তরুণী আচিয়ার মতো স্বপ্ন নিয়ে এ মহানগরে যান। পরিশ্রম করেন, নানা কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হন। অবশেষে বাধ্য হয়ে বাস্তবতার কাছে আপোস করে মাথা নত করে।
বন্ধুরা, শুনুন সিনেমার মূল চরিত্রের অভিনেতা ফান ঈ চেনের গাওয়া 'জাতীয় সীমান্তের দক্ষিণ দিক' নামের গানটি। এ গানে তিনি খুঁজেছেন তার নিজের জীবনের স্বপ্ন ও প্রেম।