20160204yinyue.mp3
|
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। আমি আনন্দী বেইজিং থেকে আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
গত ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি আমি তাইওয়ান ভ্রমণ করেছি। এটা আমার প্রথম তাইওয়ান সফর। মোট আট দিন ছিলাম সেখানে। সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। ফলে আজ আপনাদের সঙ্গে তাইওয়ান ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো এবং তাইওয়ান সম্পর্কিত কয়েকটি গান শোনাবো।
এলুয়ানবি বাতিঘর
তাইওয়ান চীনের এক অবিচ্ছেদ অংশ এবং বৃহত্তম দ্বীপ। এ অঞ্চলের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গমিটার। তাইওয়ানের আদি অধিবাসী জাতি হলো কাও শান জাতি। ১৭ শতাব্দী অর্থাত্ মিং রাজবংশের শেষ দিকে এবং ছিং রাজবংশের প্রথম দিক থেকে ফুচিয়ান প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং কুয়াংতোং প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা তাইওয়ানে প্রবেশ করে। আস্তে আস্তে হান জাতি সেখানকার প্রধান জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে। চীনা সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তাইওয়ানের সংস্কৃতি। আধুনিককালে সেখানকার সংস্কৃতির মধ্যে জাপান, ইউরোপ এবং আমেরিকার সংস্কৃতিক প্রভাব পড়ে বহুবিধ বৈশিষ্ট্য দেখা দিয়েছে।
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন এলুয়ানবি বাতিঘর নামের একটি সুর। এলুয়ানবি বাতিঘরের সুদীর্ঘ একশ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এ বাতিঘর কানডিং শহরের জাতীয় পার্কে অবস্থিত। এ বাতিঘরকে তাইওয়ানের সবচেয়ে দক্ষিণাংশের প্রতীক মনে করা হয়। বাতিঘরের উচ্চতা ২১.৪ মিটার। এর আলোক দূরত্ব ২৭.২ নৌ-মাইল। তাইওয়ানে সবচেয়ে শক্তিশালী আলোক বাতিঘর এটি। তাই একে 'পূর্ব এশিয়ার আলো' বলে ডাকা হয়।
তাইওয়ানের সমুদ্র, পাহাড় এবং মানুষের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যেহেতু তাইওয়ান একটি বড় দ্বীপ, সেহেতু আমরা পুরো তাইওয়ান ভ্রমণের সময় সবসময় সামুদ্রিক দৃশ্যের দেখা পাই। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো এ এলাকার বিভিন্ন জায়গার সমুদ্রের পানির রঙ বিভিন্ন রকম। সমুদ্রের কোনো কোনো জায়গার পানি গভীর নীল, কোনো কোনো জায়গার পানি হালকা নীল আবার কোনো কোনো জায়গার পানি সবুজ। আর কুয়াশা থাকলে অন্য রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে পড়ে।
কানডিং সৈকতের বালি সাদা ও মসৃণ। হুয়া লিয়ানের সৈকতে বালি নেই। সবই গোলাকার পাথর। চারদিকে তাকালে শুধু পাথর আর পাথর! পাথরের রূপ যে কত মনোরম হতে পারে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না! খুবই চমত্কার!