এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পর চীনা সংস্কৃতির গভীর উপাদান ও চমত্কার মার্শাল আর্টের মধ্য দিয়ে ইরানে চীনের কুংফু সংস্কৃতির বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়। এরপর জাফারি ইরানের চলচ্চিত্রাঙ্গনে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
'লাল ড্রাগন' চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে চীনের সি আন শহরে অনুষ্ঠিত 'রেশমপথ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে' প্রদর্শিত হয় এবং দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয় ফিচার ফিল্মের পুরস্কার লাভ করে। এতে জাফারির চমত্কার অভিনয় চীনের চলচ্চিত্র মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মূলত এরপরই চীন ও ইরান যৌথ সহযোগিতায় 'শাও লিন স্বপ্ন' চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু করে।
বর্তমানে জাফারি চীনের সাংস্কৃতিক সপ্তাহের কার্যক্রম এবং চীনের চলচ্চিত্র উত্সবসহ চীন ও ইরানের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিয়মিত অতিথি।
আগ্রহী ইরানিদের চীনের মার্শাল আর্ট শেখার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য তিনি চীনা ও পারসিক ভাষায় এ সংক্রান্ত একটি বই লেখেন।
ধাপে ধাপে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন মি. জাফারি। বর্তমানে তিনি ইরান ও চীনের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে নিজের নতুন স্বপ্ন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ইরানে আরো অনেকেই চীনের কুংফু ও সংস্কৃতির প্রতি খুব আগ্রহী। তিনি নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তার দেশের কুংফু অনুরাগীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
'আলোছায়া' পরিবেশনায় লিলি লাবণ্য ও এনামুল হক টুটুল।