ইরানের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ও অভিনেতা মাসুদ জাফারির জীবন অভিজ্ঞতা
  2016-01-28 09:13:35  cri

২০০৬ সালে জাফারি চীনের হোনান প্রদেশের সোং পাহাড়ে অবস্থিত শাও লিন মন্দিরে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নেন। তারপর তিনি শাও লিন মন্দির থেকে পিক্টোগ্রাফিক বক্সিংয়ের ওপর প্রশংসাপত্র অর্জন করেন।

ইরানে ফিরে যাওয়ার পর তিনি পিক্টোগ্রাফিক বক্সিংকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করেন। এখন ইরানের অধিকাংশ প্রদেশে তার ছাত্র রয়েছে।

তিনি বলেন, 'বলা যায়, শাও লিন মন্দির হলো বিশ্বের মার্শাল আর্টের উত্সস্থান। ছোটবেলায় আমি শাও লিন মন্দির সম্পর্কে শুনি। তখন থেকে সেখানে কুংফু শেখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। আমার মনে সবসময়ই 'শাও লিন মন্দিরের স্বপ্ন' কাজ করেছে। অনেক প্রচেষ্টার পর আমি নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সেখানে আমি তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি এবং অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি। শাও লিন মন্দিরের কুংফু সম্পর্কে আমার জানাশোনা আরো গভীর হয়েছে'।

জাফারির একটি চীনা নাম আছে, তা হলো 'সিও লোং'। কুংফু তারকা লি সিও লোং, অর্থাত্ ব্রুস লি'র চীনা নাম একই। অর্থ হলো ছোট ড্রাগন। তিনি বলেন, নিজেকে এই চীনা নাম দেওয়ার কারণ হলো তিনি ব্রুস লিকে খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া, তিনি ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেই বছরটি ছিলো চীনের চন্দ্র পঞ্জিকার ড্রাগন বর্ষ। বিশ্বে ড্রাগনকে চীনের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়।

ইরানের প্রথম ডোমেস্টিক কুংফু চলচ্চিত্র 'লাল ড্রাগনের' প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক হলেন জাফারি। এটি হলো তার প্রথম শিল্পকর্ম। এর আগে তিনি মার্শাল আর্টের একজন প্রশিক্ষক ছিলেন।

এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য জাফারি তার সকল সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেন।

1 2 3
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040