0107yinyue.mp3
|
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। আমি আনন্দী, পেইচিং থেকে আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ থেকে আমি আমাদের নতুন গানের অনুষ্ঠান 'সুর ও বানী' আসরে আপনাদের সঙ্গে জীবনের নানা কথা বলবো।
আজ আমার পছন্দের বেশ কিছু গান আপনাদের শোনাবো। আশা করছি, আমার এ নিয়মিত অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লাগবে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিশ্চয় আমি আরো কিছু নতুন শ্রোতা পাবো।
বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠান নিয়ে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অথবা কোনো গান শুনতে চাইলে আমাকে ইমেইলে লিখে জানাবেন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। অথবা ফেসবুকে আমাকে ম্যাসেজ দিতে পারেন। ফেসবুকে আমার অ্যাকাউন্টের নাম Anandi Yu.
বন্ধুরা, আজকে আপনাদের ২০১৫ সালের চীনের কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেবো এবং নাটকের গানগুলো শোনাবো।
টেলিভিশন নাটক 'মি ইউয়ের জীবনী'
'মি ইউয়ের জীবনী' নামের এ নাটকটি ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে পেইচিং টিভি ও ড্রাগণ টিভিতে প্রচারিত হয়। ৮১ পর্বের এ নাটকে চীনের ইতিহাসের প্রথম নারী রাজনীতিবিদ মি ইউয়ের কাল্পনিক জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এ নাটকের পরিচালক চাং সিয়াও লোং। সুন লি, লিউ থাও, ফাং চোং সিন, হুয়াং শুয়ান ও কাও ইয়ুন সিয়াং প্রমুখ অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী এ নাটকে অভিনয় করেছেন।
মি ইউয়ে ছিলেন যুদ্ধেলিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর যুগে ছু রাজ্যের রাজার সবচেয়ে ছোট মেয়ে। রাজা রাজকুমারী ইউয়েকে ভীষণ ভালোবাসতেন। কিন্তু রাজা মারা যাওয়ার পর তার জীবনে আকাশ-পাতাল পরিবর্তন হয়। মি ইউয়ে ও তার ছোট ভাই কষ্ট করে এক একটি দুর্যোগ ও বিপদ অতিক্রম করেন। মি শু হলো মি ইউয়ে'র বড় বোন। তাদের বাবা একজন হলেও মা আলাদা। এক সময় মি শুর দূরের ছিন রাজ্যের রাজার সঙ্গে বিয়ে হয়।
মি ইউয়ে ও মি শু
ছিন রাজ্যের রাণীর হন মি শু। পরে মি ইউয়ে এ রাজ্যের রাজার উপপত্নী হন। তাদের দুজনেরই পুত্র সন্তান জন্মানোর পর আস্তে আস্তে দুই বোনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। ছিন রাজা মারা যাওয়ার পর রাণী মি শু অল্প কদিনের মধ্যেই মি ইউয়ে ও তার ছেলেকে দূরের ইয়ান রাজ্যে নির্বাসিত করেন।
এর পর রাণী মি শুর ছেলে নতুন রাজা হওয়ার কিছু দিন পর ভালোত্তোলন করার সময় মারা যান। ছিন রাজ্যে বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে মি ইউয়ে অন্য জাতির বন্ধুদের সহায়তায় ছিন রাজ্যে ফিরে গিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিষ্পত্তি করেন। এ সময় তিনি নিজের ছেলেকে নতুন রাজা বানান। এবার মি ইউয়ে চীনের ইতিহাসের প্রথম ক্ষমতাসীন রাজার মা হন। তখন থেকে শুরু করে পরবর্তি চল্লিশ বছর তিনি ছিন রাজ্য শাসন করেন।
'মি ইউয়ের জীবনী' নাটকের শেষ গানের নাম 'স্বপ্নের মতো সুন্দরী'। গানটিতে অতি মন্থর গতির সুরের মাধ্যমে একজন নারী রাজনীতিবিদের মনের কথা বলা হয়েছে। মি ইউয়ে জীবনের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় মোট তিনটি দেশে বসবাস করেন। তিনজন পুরুষের সঙ্গে তার গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক হয়। কণ্ঠশিল্পী হো জুন এ গানের মাধ্যমে এ সব দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
গায়ক হো জুন
এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, এ নাটকের প্রধান গানটি গাওয়া আমার জন্য একটি অত্যন্ত ভালো সুযোগ। আমি অবশ্যই ভালো করতে চেষ্টা করবো। প্রথম বার এ গান শুনে আমি বুঝতে পেরেছি, এ গান আমার কণ্ঠের সঙ্গে খাপ খাবে। আমি বেশি চিন্তা করি নি, এ সুযোগ সত্যি খুব ভালো।'
এ গানের কথা লিখেছেন হো ছি লিং এবং সুর করেছেন আখুন। গানে বলা হয়েছে, 'আকাশে তারা ও চাঁদ আগের মতো উজ্জ্বল। অতীতের স্মৃতি কীভাবে স্মরণ করবো। মনে হাজার রকমের আবেগ ছিলো। এখন নিঃসঙ্গ হয়ে গেছে এ মন। বসন্তকালের ফুল ফুটেছে, আবার শুকিয়ে গেছে। শরত্কালের ঘাসও শুকিয়ে গেছে। আগের সেই সুন্দরী আর ফিরে আসবে না। তোমার জন্য কিছু করতে কোনো দ্বিধা নেই। কেবল তোমার সঙ্গি হতে চাই। প্রতিজ্ঞা করছি চিরকাল তোমাকে রক্ষা করবো।
বন্ধুরা, এবার শুনুন হো জুনের গাওয়া 'স্বপ্নের মতো সুন্দরী' নামের এই মিষ্টি গানটি।