পেইচিংয়ে বেশ কিছু প্রবীণ পালকের বল খেলায় পারদর্শী । পালকের বল খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তারা অন্যদেরকেও খেলার নৈপুণ্য শেখান । কুও নামে একজন শিক্ষক দশ বছর বয়সে পালকের বল খেলতে শুরু করেন । তার এই খেলা চর্চার বয়স ৫০ বছরেরও বেশি । তিনি বলেন , তার পালকের বল খেলায় চীনের অপেরা , উসু , জিমন্যাস্টিকস , এক্রোবেটিকস্ ও নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন নৈপুণ্য আন্তর্ভুক্ত রয়েছে । এতে চীনের সুপ্রাচীন ও সুগভীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রকাশ পেয়েছে ।
চীনের ৫ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছাড়া পালকের বল খেলার এমন প্রচলন অসম্ভব ছিল । পালকের বলকে জনসাধারণের জীবনধারা থেকেও আলাদা করা যায় না । এতে চীনের প্রাচীনকালের সাহিত্যকর্ম ও রূপকথাও প্রতিফলিত হয়েছে । পালকের বল খেলার নৈপুণ্য পেইচিং অপেরার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ । চীনের সুপার মার্কেট ও সাধারণ বাজারেও বিবিধ পালকের বল পাওয়া যায় । সাধারণতঃ পালকের বল মুর্গীর পালক দিয়ে তৈরি । দাম মাত্র কয়েক ইউয়ান ।
আসন্ন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের ব্যাড মিন্টন ও ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার মাঠে বিনোদনমূলক প্রমোদমূলক ইভেন্ট হিসেবে পালক বল খেলা প্রদর্শিত হবে । পেইচিং পালকের বল সমিতির মহাসচিব শি ইয়ান ফাং বলেন , অলিম্পিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার বিরতির সময় পালকের বল খেলা হবে । ১৭ আগস্ট পুরুষদের ম্যারাথন দৌড়ের ফাঁকে ফাঁকে পালকের বল খেলাও প্রদর্শন করা হবে । খেলার সময় মাত্র ৮ মিনিট । তখন বিদেশী দর্শকরা অবশ্যই এ খেলা পছন্দ করবেন ।
যারা চীনের ঐতিহ্যবাহী পালকের বল খেলা পছন্দ করেন , তারা এবারের অলিম্পিক গেমস চলাকালে অবশ্যই এ খেলা উপভোগ করতে পারবেন । এবারের অলিম্পিক গেমসে পেইচিংয়ের একটি প্রাথমিক স্কুলের ১০জন ছাত্রছাত্রীও পালকের বল খেলবে । তাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ৯ বছর । এবারের পালকের বল খেলা প্রদর্শনের জন্য সে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৬ মাস আগে এ খেলা চর্চা শুরু করেছে । (থান ইয়াও খাং) 1 2
|