v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-31 15:31:52    
হোং ছিয়াও বাজার

cri

 

পেইচিং-এর বিখ্যাত শপিং সেন্টারগুলোর মধ্যে একটি কেন্দ্র আছে যেখানে প্রধানত মুক্তা বিক্রি হয়। সেখানকার দোকানে দোকানে সব সময় বিদেশী ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। ইংরেজী ভাষায় চলে তীব্র দরকষাকষি। সময় পেলে অনেক বিদেশী রাজনৈতিক নেতা ও চীনে নিযুক্ত কূটনীতিকরাও এখানে বেড়াতে আসেন। এটা হচ্ছে চীনের বৃহত্তম মুক্তার অলঙ্কারের বাজারগুলোর একটি নাম হোংছিয়াও।

১৯৯৫ সালে নির্মিত হোং ছিয়াও বাজারে মাটির নীচে ৩টি এবং ওপরে ৫টি তলায় মোট ১ হাজার ১শ'রও বেশি ছোট দোকান আছে। এখানকার মুক্তা বিক্রিতে বেশ বিশেষত্ব আছে। হোং ছিয়াও বাজারে কম পুঁজির সস্তা ও ভালো অলঙ্কার বিক্রেতা ছাড়াও কয়েক লাখ এমনকি দশ লক্ষাধিক ইউয়ান পুঁজির বড় বিক্রেতাও আছে। হোংছিয়াও থেকে শুরু করা অনেক মুক্তা শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিখ্যাত হয়ে গেছে। পেইচিংয়ের হোংছিয়াও বাজারের অফিস পরিচালক ওয়াং লি লোং বলেন,

হোং ছিয়াও বাজারের প্রধান পণ্য হচ্ছে মুক্তা। এর ঐতিহাসিক উত্স আছে। গত শতাব্দীর ৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে হোংছিয়াও বাজার মুক্তা বিক্রি শুরু হয়। তারপর এখন পর্যন্ত ২০ বছর ধরে তা চলছে। বর্তমানে চীনের মিঠা পানির মুক্তা উত্পাদনের পরিমাণ হচ্ছে প্রতি বছর ১ হাজার ৬শ' টন। এর মধ্যে বছরে হোংছিয়াও কেবল বাজারের মাধ্যমেই ২শতাধিক টন মুক্তা বিক্রি হয়। সুতরাং হোংছিয়াও বাজার চীনের মুক্তা শিল্পের চূড়ান্ত পর্যায়ের বিক্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

কাউন্টারে চোখ ধাঁধানো মুক্তা ও হস্তশিল্পজাত পণ্যে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা এতোটাই বিভোর হয়ে পড়েন যে বাড়িতে যাওয়ার কথাও বেমালুম ভুলে যান। প্রায় প্রতিটি কাউন্টারের সামনে তিন চার জন করে বিদেশী পর্যটককে দামাদামি করতে দেখা যায়। বিক্রেতা গড়গড় করে ইংরেজীতে ক্রেতাদেরকে নিজের পণ্যের গুণগান করতে থাকেন। এভাবেই এটি একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন পণ্য বাজারে পরিণত হয়েছে।

হোং ছিয়াও বাজারের আরেকটি নাম হচ্ছে পার্ল মার্কেট। হোং ছিয়াও বাজার অফিসের পরিচালক ওয়াং লি লোং বলেন,

এখন অনেক বিদেশী অতিথি হোংছিয়াও-এ মুক্তা দেখতে ও কিনতে আসেন। প্রতি বছর আমরা ৫ থেকে ৬ লাখ বিদেশীকে অভ্যর্থনা জানাই। এর মধ্যে রয়েছে অনেক দেশের শীর্ষ নেতা ও তাদের স্ত্রী। কারণ হোংছিয়াও বাজার 'বিদেশী নারীদের মনে মহাপ্রাচীর'-এর মতো, সুতরাং পেইচিং আসলে অবশ্যই হোংছিয়াও বাজারে আসতে হবে। না আসতে পারলে দুঃখের শেষ নেই।

মুক্তা কিনতে যারা আসেন তাদের মধ্যে কেউ বা একাকী আবার কেউ কেউ পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। দলীয় বিদেশী পর্যটকরাও এখানকার নিয়মিত ক্রেতা। আমেরিকান কোলিন লেমন্ট চীনে বহু বছর ধরে কাজ করেছেন। তিনি নিয়মিতহোংছিয়াও বাজারে কেনাকাটা করেন। এবারই তার বন্ধুর প্রথম বার চীন ভ্রমন। তিনি তাকে নিয়ে হোংছিয়াও বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন। লেমন্ট বলেন,

আমার মনে হয় হোংছিয়াও বাজার কেনাকাটার জন্য ভালো জায়গা। এখানে মুক্তা ও জেইড পাথর পাওয়া যায়। আমি যে সব জিনিস কিনেছি, সেগুলো নিয়ে খুব সন্তুষ্ট। এখানকার বিক্রেতাদের ইংরেজী ভাষা বেশ ভালো। আমি উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইংরেজী শিক্ষা পায় নি। এ জন্য আমি অবাক হয়েছি। এবার আমি বন্ধুদের জন্য উপহার কিনতে চাই। আগে আমি নিজের পরিবারের সবার জন্য উপহার কিনেছিলাম। প্রতি বার আমার বন্ধু বা পরিবার পেইচিং-এ আসলে আমি তাদেরকে এখানে নিয়ে আসি।


1 2