v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-15 20:30:56    
নিং সিয়া উই জাতির সাংস্কৃতিক উদ্যান

cri

সাংস্কৃতিক উদ্যানে প্রবেশ করলে দর্শকদের চোখে পড়ে একটি হুই জাতির জাদুঘর । এ জাদুঘর থেকে চীনে হুই জাতির সভ্যতার সুদীর্ঘকালীন উন্নয়নের ইতিহাস ফুটে উঠেছে । জাদুঘর ৫টি প্রদর্শনী ভবনে বিভক্ত । এ সব প্রদর্শনীতে হুই জাতি ও ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত প্রায় এক হাজার প্রাচীন গ্রন্থ প্রদর্শিত হচ্ছে । এতে চীনের হুই জাতির সৃষ্টি , ইসলামী সভ্যতা উন্নয়নের প্রক্রিয়া , চীনে হুই জাতির স্ববৈশিষ্ট্যের সংস্কৃতি ও আচার ব্যবহার , চীনা জাতির ইতিহাসে হুই জাতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান , নিং সিয়া হুই জাতির সৃষ্টি , উন্নয়ন ও পরিবর্তনসহ বৈচিত্র্যময় বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে ।

সাংস্কৃতিক উদ্যানের প্রচুর পুরাকীর্তিও ইসলামী সংস্কৃতি জানাবার মূল্যবান তথ্যে পরিণত হয়েছে । স্যু ওয়ে বলেন ,

ইসলাম ধর্ম সমিতি এবং ইসলামী ইনস্টিটিউটের সঙ্গে হুই জাতির জাদুঘরের সহযোগিতাও আছে । নিং সিয়া ইসলামী ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে যাদুঘরে মুসলমানদের দেশপ্রেমিক শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে । পরিদর্শন এবং হুই জাতির সংস্কৃতি বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের জন্য ইনস্টিটিউটের ইমামরা নিয়মিতভাবে জাদুঘরে আসেন ।

প্রদর্শনী ভবনে নানা রকম কোরান এবং প্রাচীনকালের স্বর্ণ ঘন্টা ইত্যাদি প্রদর্শিত হচ্ছে । এর মধ্যে ১৩৬৮ থেকে ১৬৮৩ সাল পর্যন্ত অর্থাত্ মিন রাজবংশ আমলের একটি কোরান আছে । এ পর্যন্ত এটা নিং সিয়ায় আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ও সবচেয়ে ভাল অবস্থায় সংরক্ষিত কোরান । জাদুঘরে আরেকটি মূল্যবান জিনিস হচ্ছে ২০০৭ সালের জুন মাসে কুয়েতের দেওয়া উপহার- দুটি প্রাচীন আরব সামুদ্রিক জাহাজের মডেল এবং নরনারীর ১২টি ইসলামী পোষাক । এ সব উপহার চীন ও আরব দেশগুলোর মধ্যেকার সৌহার্দ্যপূর্ণ বিনিময়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন ।

জাদুঘরের প্রাচুর্যময় পুরাকীর্তি ও মূল্যবান উপহার বিপুল সংখ্যক বিদেশী দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে । সাংস্কৃতিক উদ্যানের কর্মকর্তা লেই রেন জে বলেন ,

জাদুঘর চালু হওয়ার পর কুয়েত , ইয়েমেন , ইরান , পাকিস্তান ও মিসরসহ বিভিন্ন ইসলামী দেশের কূটনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা খুব খুশী হয়েছেন । তারা মনে করেন , চীনে এত বেশি ও চমত্কার ইসলামী স্থাপত্যশৈলী সংরক্ষিত আছে , তাতে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি চীনের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়েছে ।

লেই রেন সেন বলেন , জাদু ঘরে যে চীনের ইসলামী সংস্কৃতি প্রদর্শিত হচ্ছে , তাতে ইসলামী দেশগুলোর কর্মকর্তা ও দর্শকরা খুব মুগ্ধ হয়েছেন । তারা মত প্রকাশ করেন যে , জাদু ঘরের ইসলামী পুরাকীর্তি আরো বৈচিত্র্যময় করে তোলার জন্য তারা যাদু ঘরের সঙ্গে সহযোগিতা চালাবেন এবং নানা রকম ইসলামী পুরাকীর্তি অনুদান দেবেন । তিনি বলেন , নিং সিয়া হুই জাতির সাংস্কৃতিক উদ্যান যাতে দেশ-বিদেশের মুসলমানদের প্রীতি সম্মিলনী ও বিনিময় কেন্দ্রে পরিণত হয় , সেজন্য তিনি কর্মীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাবে । (থান ইয়াও খাং)


1 2