৪. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বেশি বরাদ্দ

খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। কৃষি ক্ষেত্র দুর্যোগ প্রতিরোধ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ কয়েক বছরে গম উত্পাদনের পরিমাণ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। চীনে কৃষি সম্পর্কিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রচারকারীরা গ্রামে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। কৃষকরা একে স্বাগত জানান।

বিভিন্ন স্থান খাদ্যশস্য উত্পাদন জোরদার করার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতা চালায়। যেমন, আনহুই প্রদেশ গম ও ধান উত্পাদনের পরিমাণ উন্নয়নের তত্পরতা চালায়, শানসি প্রদেশের গম সংস্কার পরিকল্পনা, চিয়াসু প্রদেশের ধাণ চাষের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, শানতং প্রদেশের ভূট্টা উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো অভিযান। এসব তত্পরতার সাফল্যও আছে।

অনেক প্রদেশে গর্ভনর ও মেয়র যোগাযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পরিকল্পনাগুলো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা, কৃষি প্রযুক্তি ব্যক্তিদের প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত প্রচারের ক্ষেত্র ও বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্ল্যাটফর্মে পরিনত হয়েছে। এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র থেকে ব্যাপক আবাদী জমির উন্নতির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের খাদ্যশস্যের পরিমাণের ভারসাম্য বৃদ্ধি বাস্তবায়িত হয়েছে।

গত বছরে গম চাষ করার পর চীনের কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদেরকে পাঠিয়ে গম উত্পাদন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেন। বিশেষজ্ঞরা ভাল বীজ বেছে নেয়া, আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষ করা ও খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানোর প্রযুক্তি প্রচার করার মাধ্যমে চীনের গ্রীষ্মকালীন খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছেন।

ছাই ইউয়ে