১৪ মে তেং ছিয়াং অস্তিত্বের সেনাবাহিনী তু চিয়াং ইয়ানে প্রবেশ করে তেং ছিয়াংও নিজের জন্মস্থানে ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেন। ঐ সময় তু চিয়াং ইয়ানের টেলিযোগাযোগ ইতোমধ্যেই পুনরায় চালু হয়ে গেছে। তিনি পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলতে পারেন। তেং ছিয়াংয়ের ত্রাণ কাজে কষ্ট হতে পারে বলে তার পরিবার তার বাবার নিহতের খবর তেং ছিয়াংকে কিছুই বলেনি। ১৫ মে বাবার মৃত্যুদেহ ধ্বংস স্তুপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী তাকে বাসায় ফিরে বাবার সত্কার করার জন্য অনুরোধ জানায় । এভাবেই তেং ছিয়াং বাবার মারা যাবার খবর জানতে পেরেছেন। নিজের বাবাকে একজন আদর্শ মানুষ এবং ভাল বন্ধু মনে করেন তেং ছিয়াং তাই এ নিষ্ঠুর বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। কারণ ভূমিকম্প শুরুর আগে দিন তেং ছিয়াং বাসায় গিয়ে বাবার সাথে দেখা করেছেন এবং সবাই আনন্দের সঙ্গে একসাথে খাবার খেয়েছেন। তিনি কখনও মনে করেন নি যে তার বাবার সঙ্গে ঐবাই তার চূড়ান্ত বিদায়। তিনি বলেন:" ১১ মে আমি বাসায় ফিরে এসেছি। আসলে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার জন্য আমি অনেক সময় বাসায় ফিরে যেতে পারি নি। সেদিন সকাল ৭টায় আমি বাসে করে প্রায় ৯টা ১০ মিনিটে বাসায় ফিরে যাই। বিকাল ৪টার সময় আমি আবার বাসে করে বাসায় থেকে চলে যাই । এতে শুধু মাত্র দুপুরে পরিবারের সবার সাথে খাবার খেয়েছি। সাধারণত এক মাসে আমি একবার করে বাসায় ফিরে আসি। সর্বাধিক হলেও মাসে শুধু মাত্র দু'বার।"
বাবার মৃত্যুতে তেং ছিয়াংয়ের আঘাত বেশি পেয়েছেন। চাং ইয়িন হুই হচ্ছেন তেং ছিয়াংয়ের সবচে' ভাল বন্ধু। তিনিও তেং ছিয়াংয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হন। দু'জন একসাথে সেনাবাহিনীর নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। সেজন্যই তিনি তেং ছিয়াংকে বেশি জানতে সক্ষম। তিনি বলেন:" তার বাবার মারা যাবার খবর জানার পর তেং ছিয়াংয়ের মনোভাব খুবই দুর্বল। এমন কি তিনি হঠাত্ করে রোগা হয়ে যাচ্ছেন। তার এই পরিবর্তন আমি অনুভব করতে পারি। এ বিশাল দুঃখে আমি শুধু তার সাথে বসে থাকি কোনো ভাষা বলতে পারি না।"
চাং ইয়িন হুই আরো বলেন, তেং ছিয়াং সারা দিন চুপচাপ থাকেন। আগে তিনি এমন ধরণের নয়। " আগে তেং ছিয়াং বেশ হাসি-খুশি এবং তার চিন্তাভাবনাও খুবই ভালো। একই সঙ্গে কাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তেং ছিয়াংয়ের মনোভাব সব খুবই সক্রিয়। তিনি সহজভাবে অন্যান্যের সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। আমরা তাকে অনেক পছন্দ করি।"--ওয়াং হাইমান 1 2
|