শ্রোতাবন্ধরা , আজকের " চীনের জীবন" অনুষ্ঠানে আমি সি ছুয়ান প্রদেশের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেবা প্রদানকারী একজন তরুন সৈন্যের গল্প আপনাদেরকে জানাবো। তার নাম হচ্ছে তেং ছিয়াং ।
১৯৮২ সালে তেং ছিয়াং জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সি ছুয়ান প্রদেশের তু চিয়াং ইয়ান শহরের একজন অধিবাসী। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করার পর তেং ছিয়াং বাবার উত্সাহে চীনের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে সেনাবাহিনীর একজন সাধারণ সৈন্যে নিজেকে নিয়োগের পর তেং ছিয়াং এতো অভ্যস্ত ছিলেন নয় । তিনি বলেন:" সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর আমি খুন মিংয়ের স্থল বাহিনী কলেজে থাকতাম। সেখানকার পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আসলে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে । যখন খুন মিংয়ের স্থল বাহিনীর নতুন সদস্যদের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ খুবই কষ্টর হয়েছিল। বাবা আমাকে টেলিফোন করে উত্সাহ দিতেন । একই সঙ্গে বাবা আবার আমার বন্ধুদেরকেও জানিয়েছে ফলে তারাও আমাকে উত্সাহ দেয়ার জন্য ফোন করেছেন। আস্তে আস্তে আমি আবিষ্কার করেছি যে সেনাবাহিনীর জীবনও বেশ মজার ।"
এভাবেই তেং ছিয়াং সেনাবাহিনীর জীবনে অভ্যস্ত হয়েছেন এবং ক্রমে ক্রমেই তিনি এ কাজকে ভালবাসে ফেলেছেন। চমত্কার কৃতিত্বের কারণে চলতি বছর তেং ছিয়াং উপ কোম্পানি কমান্ড্যার পদে নিযুক্ত হন। তাঁর বাবা মাও ছেলের অগ্রগতিতে আনন্দ বোধ করেন। এ পরিবার এতো সুখী পরিবেশে থাকার সময় আকস্মিক এক ঘটনা ঘটেছে। ১২ মে সি ছুয়ান প্রদেশের ওয়েন ছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তেং ছিয়াংয়ের জন্মস্থান--তু চিয়াং ইয়ান এবারের ভূমিকম্পের সবচে' বেশি গুরুতর দুর্গত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এমন কি, তার বাবা ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন।
আসলে ভূমিকম্পের পর বাবা মার অবস্থা নিরাপদ কী না সেটা জানোর জন্য তেং ছিয়াং প্রথমে বাসায় ফোন করেছিলেন । তবে তখন তু চিয়াং ইয়ানের টেলিযোগাযোগ সব বন্ধ হয়ে গেছে। টেলিফোন করলেও কোন কাজ হবে না । কিছুই চলে যাবে না। ভূমিকম্পের একই দিন বিকালে তেং ছিয়াংয়ের সেনাবাহিনী ভূমিকম্পে ত্রাণ কাজের নির্দেশ পায়। এভাবেই তেং ছিয়াং নিজের বাবা মা'র চিন্তা নিয়ে ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালিয়েছেন।
1 2
|