১২ মে চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ওয়েন ছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের ১০ হাজারেরও বেশি ডাক্তার ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে পৌঁছে আহতদের সেবা প্রদানের কাজ করেছেন।
১৯ মে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বিশেষ সংবাদদাতা থিয়ান চেন সি ছুয়ান প্রদেশের চিয়াং ইয়ৌ নগরে পৌঁছান। এ ছোট্ট নগরটি মিয়ান ইয়ং এবং ওয়েন ছুয়ানসহ এবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের গুরুতর দুর্গত অঞ্চলের খুবই কাছাকাছি । চিয়াং ইয়ৌ'র গণ হাসপাতাল ভূমিকম্পে আহতদের ত্রাণের দায়িত্ব বহন করে। এ হাসপাতালের প্রধান হু ইয়ুং কুয়াং বলেন, চিয়াং ইয়ৌ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের আহতদের গ্রহণের ক্ষমতা চ্যালেন্জের সম্মুখীন হলেও চিকিত্সা কর্মীরা আরও যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আহদেরকে ত্রাণ করবেন।তিনি বলেন:" ওষুধের খুবই ঘাটতি অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমাদের হাসপাতাল পুরোদমে প্রত্যেক আহতকেই সেবা দেয়। ডাক্তারদের কখনো ঘুম আসলে সরাসরিভাবে হাসপাতালের উদ্যানে একটু বিশ্রাম নেন, তার পর পুনরায় সর্বান্তঃকরণে সেবার কাজে যোগ দেন।"
তিনি আরো বলেন, এই হাসপাতালের নিজের চিকিত্সা কর্মীরা ছাড়া, শাং হাই দ্বিতীয় সামরিক চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের লংমার্চ হাসপাতাল এবং চিয়াং সু প্রদেশের নান চিংয়ের প্রথম হাসপাতালও নিজেদের শ্রেষ্ঠ চিকিত্সা কর্মীদের পাঠিয়ে এই হাসপাতালের সেবা কাজে সাহায্য করেছে। ভূমিকম্পের ঘটনাস্থলে আহতদেরকে চিকিত্সা সেবা দিয়েছেন যে নান চিংয়ের প্রথম হাসপাতালের উপপ্রধান ওয়াং লি মিং বলেন, সেবার দায়িত্ব গ্রহণের পর তারা ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রুত ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে পৌঁছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আহতদেরকে সেবা করতে পারবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।তিনি বলেন:" সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আমাকে জানানোর পর ১০টায় হাসপাতাল ত্যাগ করে ১১টায় বিমানে উঠি এবং বিকাল ২টায় আমরা ছেং তু সুয়াং লিউ বিমান বন্দরে পোঁছাই। অবশেষে রাত ১২টায় আমরা চিয়াং ইয়ৌ গণ হাসপাতালে কাজ শুরু করি।"
ভূমিকম্পের পর নান চিং শহরের প্রথম হাসপাতালের চিকিত্সা কর্মীদের মতো চীনের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালগুলোও পর্যায়ক্রমে ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে ডাক্তাদের সেবা কাজে লাগানোর আবেদনপত্র গ্রহণ করেছে। আবেদনপত্রে তাদের সেবা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। শুরুর দিকে ভূমিকম্পে বেশি গুরুতর ওয়েন ছুয়ান এবং পেই ছুয়ান জেলায় পাহাড়ধসের কারণে বহু রাস্তা ও সড়ক ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ছোট আকারের ভূমিকম্প অব্যাহত থাকায় চিকিত্সা কর্মীরা এবং ত্রাণকারী সৈন্যরা শুধু বিমান এবং জলপথে , এমন কি পায়ে হেঁটে ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে চলে যান।
1 2
|