হাসপাতালে রোগীর সাথে আস্থান করার দিক থেকে এখন সক্রিয়ভাবে কমিউনিটিতে অধিবাসীদেরকে চিকিত্সা সেবা প্রদান ব্যবস্থার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সেবা ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি খুবই সফল হয়েছে । লু কৌ ছিও কমিউনিটি হাসপাতালের প্রধান চাও কুই ছিন বলেন:" আমাদের সদস্যদের কমিউনিটিতে চিকিত্সা গ্রহণের জন্য সংখ্যা বেড়েছে । তবে চিকিত্সার মাথাপিছু খরচ কমেছে। অধিবাসীরা আমাদের চিকিত্সা সেবা বেশি নিতে পছন্দ করে। বিশেষ করে আমাদের সাহায্যে অধিবাসীরা কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সেবা প্রদানের জন্য তারা আমাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানায়। একই সঙ্গে কমিউনিটির অধিবাসীরা শরীরের অবস্থারও এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। কাজে লাগানোর মাধ্যমে ডাক্তাদের নিজেদের মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়।"

    বর্তমানে পেইচিং ফেং থাও জেলায় মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা দল গঠন করা হয়েছে । এ দলের ৬ শ ৬০ জন " ফিয়ান ই" সংশ্লিষ্ট ৫ লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছে। একই সঙ্গে " ফিয়ান ই"র নাম ,ছবি এবং ২৪ঘন্টা যোগাযোগ করার মোবাইল-ফোন নম্বর সব কিছুই কমিউনিটির নোটিশ বোর্ডে দেখা যায় । এর ফলে অধিবাসীদের যোগাযোগের জন্য অনেক সুবিধা হয়। পেইচিং-এর ফেং থাই জেলার স্বাস্থ্য ব্যুরোর উপপরিচালক লি চিয়া বিন আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন:" আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য ধারাবাহিক সুবিধামূলক নীতি কার্যকর করেছি। এতে তাদের চিকিত্সা গ্রহণসহ দারিদ্র্য তার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।এ সমস্যার সমাধান হলে স্বাস্থ্য নীতির ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।"

    সাধারণ রোগে আক্রান্ত হলে এবং কিছু কিছু ছোট রোগ হলে এ কমিউনিটির চিকিত্সা কেন্দ্রে চিকিত্সা করা যায়। যে সব রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ তাদের বড় হাসপাতালে যাওয়াই উচিত ।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বেশ সচেতন হয়েছে। এখন চিকিত্সা ক্ষেত্রে পুঁজিবিনিয়োগ জোরদার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার চিকিত্সা ক্ষেত্রে আরো বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে । চীন দরিদ্র অঞ্চলের চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নতির জন্যে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক । সরকার আবাসিক এলাকার চিকিত্সা গ্রহণের জন্য ভর্তুকি দিয়েছে, যাতে এখানে বিভিন্ন চিকিত্সার খরচ অন্য হাসপাতালের চেয়ে কম হয় । তাই এ ধরণের চিকিত্সা কেন্দ্র চালু হবার পর, এখানকার রোগীদের বিছানার সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও চলছে।--ওয়াং হাইমান