v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-13 20:57:12    
কমিউনিটিতে সেবা প্রদানকারী ডাক্তার

cri

    শ্রোতাবন্ধুরা, পেইচিংয়ের কমিউনিটিতে যে সব পুলিশ কাজ করে তাদের " ফিয়ান চিং" বলে অভিহিত করা হয়।এর অর্থ হচ্ছে কয়েকটি কমিউনিটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ। এখন পেইচিংয়ের ফেং থাই জেলায় আরেকটি নতুন শব্দ দেখা দিয়েছে , যা হলো " ফিয়ান ই"। এটি হচ্ছে স্থানীয় অধিবাসীরা কমিউনিটিতে কাজ করা ডাক্তাদের জন্য একটি নতুন নাম দিয়ে ফেলেছে। 

    ৬৫ বছর বয়স্ক চিয়া হুং ছিন , তিনি পেইচিং ফেং থাও জেলার সিয়াও কুও চুয়াং কমিউনিটির একজন অধিবাসী। তার পরিবারে শুধু মাত্র তিনি আর তাঁর ৬৭ বছরের স্বামী এই দু'জন রয়েছেন। তবে চিয়া হুং ছিন উচ্চরক্তচাপে ভোগেন বলে মাঝে মাঝে তার মাথা ব্যাথা করে। ছেলে-মেয়েরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে উচ্চরক্তচাপের সময় তার অনেক কষ্ট হয়। তিনি বলেন:" আমার অনেক দুঃখ হয়। কোনো রোগে আক্রান্ত হলে নিশ্চয় ডাক্তারের কাছে সাথে যেতে চাই। তবে কমিউনিটিতে চিকিত্সা কেন্দ্র না থাকার কারণে আমি শুধু আমার বাসা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি হাসপাতালে যেতে পারি। হাসপাতালে গেলে আমাকে অবশ্যই ট্যাক্সিতে যেতে হবে। তখন চিকিত্সা গ্রহণের চেয়ে ট্যাক্সির খরচ আরও বেশি হয়।"

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পেইচিং শহর দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উন্মুক্ত স্থাপনা এবং পরিসেবার মান তত বেশি পূর্ণাঙ্গ হয়নি এমন নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। চিয়া হুং ছিনের সিও কুও চুয়াং কমিউনিটি এসব আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। যাতায়াতের জন্য এখানে এখনও কোনো বাস লাইন নেই। কমিউনিটিতে মোট ১ হাজার ৫ শ'রও বেশি অধিবাসী রয়েছেন। কারণে অধিবাসীদের অনেকেই চিয়া হুং ছিনের মতো নিজের ছেলে-মেয়েদের কাছে থাকেননি। বুড়ো-বুড়িদের চিকিত্সা গ্রহণের জন্য সবচেয়ে কাছাকাছি হাসপাতালে সাইকেলে যাতায়াতে কমপক্ষে ৪০ মিনিটেরও বেশি লেগে যায়। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে ফেং থাই জেলার স্বাস্থ্য ব্যুরো কমিউনিটিতে প্রাথমিক চিকিত্সা সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এতে এলাকা ও পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘন্টার টেলিফোন সেবা নিয়ে গঠিত ' ফিয়ান ই' এ নতুন সেবা প্রদান ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। রোগীর বাসায় গিয়ে চিকিত্সা সেবা দেয়ার এ নতুন সেবা চিয়া চাচির খুব পছন্দ হয়েছে। তিনি বলেন:" এখন আমাদের কমিউনিটিতে চিকিত্সক দল রয়েছে। এ জন্য আমি অনেক আনন্দিত । মনে হয় যেন একটি দরজা খোলাই রয়েছে আমাদের সেবার জন্য খুবই চমত্কার। কমপক্ষে আমার মত যাদের ছেলে-মেয়ে নিজের কাছে নেই এমন বুড়ো-বুড়ির জন্য এটা খুবই সুবিধার"

    আমাদের সংবাদদাতা সাক্ষাত্কারে ঠিকভাবে " ফিয়ান ই" ডাক্তার লি ফেং রুই এবং তার চিকিত্সক দল নিয়ে কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপদেশ দিচ্ছিলেন। " প্রশ্ন: রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কী কী বিষয় জানা দরকার? উত্তর: মানবদেহের রক্তের ভেতরে চিনির পরিমাণ কত জানতে পারা, সাধারণত ৭.৬ মাত্রার বেশি হলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে সনাক্ত করতে হবে। প্রশ্ন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন আপনি। উচ্চরক্তচাপের রোগীর নিজের শরীর অবস্থা সম্পর্কে সাবধান না হলে সহজভাবেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।"

    ডাক্তার লি ফেং রুইর স্বাস্থ্য দল হচ্ছে লু কৌ ছিও কমিউনিটি হাসপাতালের ১২টি স্বাস্থ্য দলের মধ্যে অন্যতম। প্রত্যেকই স্বাস্থ্য দলের সদস্য সংখ্যা এক নয়। বড় দলের সদস্য সংখ্যা মোট ১০ জনেরও বেশি এবং ছোট দলের সদস্য সংখ্যা শুধু তিন বা পাঁচ জন। তবে প্রত্যেক দলের মধ্যে নিশ্চয়ই তিনজন মুখ্য সদস্য রয়েছেন। তারা হচ্ছেন বিভিন্ন ধরণের চিকিত্সা সার্বিকভাবে সমাধান করতে সক্ষম এমন ডাক্তার , নার্স এবং রোগ নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যরক্ষী পন্ডিত গণ। এ স্বাস্থ্য দল প্রত্যেক সপ্তাহে এক বা দুই বার করে কমিউনিটিতে তত্পরতা চালানোর উদ্যোগ নেয়। যা স্থানীয় অধিবাসীদের স্বাগত পেয়েছে।কমিউনিটির প্রশাসনিক বিভাগের পরিচালোক ইয়ু কুই হুয়া সংবাদদাতাকে বলেন:" এ স্বাস্থ্য দলটি প্রত্যেক সপ্তাহেই আমাদের কমিউনিটিতে এসে বাধ্যতামূলকভাবে চিকিত্সা করে। অনেকেই এর মাধ্যমে নিজেইকে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জেনে ফেলেছে। এতে ব্যাপকভাবে অধিবাসীদেরকে স্বাস্থ্য রক্ষার জ্ঞান শিখিয়ে দিয়েছে। আরেকটি কথা , তারা আসার আগে সংশ্লিষ্ট বুড়ো-বুড়িকে ফোন করে তাদেরকে কার কী কী ধরণের ঔষধ দরকার , তা আসার সময় নিশ্চয় নিয়ে আসবেন। এভাবে নিজের ছেলে-মেয়েটি নিজের কাছে না থাকা এমন বুড়ো-বুড়ির জীবনে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।"

1 2