v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-12 16:40:06    
প্রাচীন শহর হুয়াং ইয়াও ও কু পো পর্বত অরণ্য উদ্যান

cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, বিশেষ অনুষ্ঠান 'কুয়াং সি'র সৌন্দর্য'-এ আপনাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি খোং চিয়া চিয়া। আজও আমার সঙ্গে রয়েছেন অমিত হাবিব। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদেরকে কুয়াং সি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রাচীন শহর হুয়াং ইয়াও এবং কুপো জাতীয় অরন্য উদ্যানে নিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠান শুরু করার আগে যথারীতি আপনাদেরকে প্রথমেই প্রশ্ন দুটি জানিয়ে দিচ্ছি। প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে প্রাচীন শহর হুয়াং ইয়াও'য়ের ইতিহাস কত বছরের? দ্বিতীয় প্রশ্ন কুপো পর্বত অরন্য উদ্যানে হাজার মিটারের চেয়েও বেশি উঁচু চূড়া কটি?

কুই লিন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে লিচিয়াং নদীর নিম্ন অববাহিকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন হুয়াং ইয়াও শহর। কুইলিনের মতোই হুয়াংইয়াওয়ের বৈশিষ্ট্য আগ্নেয় পাথরের ভূদৃশ্য। এর চার পাশ ঘিরে আছে গড়ানো আগ্নেয় পাথরের পাহাড় আর গিরিশৃঙ্গ। শহরটির ওপর দিয়ে একেবেঁকে বয়ে গেছে তিন তিনটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ নদী। পানির ওপরে যেন ধনুক হয়ে আছে অপরূপ সব পাথুরে সেতু।

৪ বর্গকিলোমিটারের শহরটিতে বসবাসরত পরিবারের সংখ্যা ৫ শয়ের কিছু বেশি। আকারে খুব বড় না হলেও চিত্রশিল্পী, আলোকচিত্রী ও পর্যটকদের কাছে প্রাচীন এই শহরের আবেদন অফুরন্ত। মনোরম দৃশ্য, সুদীর্ঘ ইতিহাস, জীবন্ত প্রাচীন সংস্কৃতি আর চমকপ্রদ লোকজ রীতি নীতির সমাহার শহরটির প্রতি চুম্বক আকর্ষণের কারণ।

চু সিয়াং কুই স্থানীয় একটি পর্যটন কম্পানির কর্মী। তার ভাষায়

'প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক দুই আকর্ষণেই শহরটি সমৃদ্ধ। সারি সারি মনোরম পাহাড় ও জলময় ভূদৃশ্য, শতাব্দী প্রাচীন বট বৃক্ষরাজি, চৌকোনা প্রস্তর ফলকে বাধানো রাস্তা, সুসংরক্ষিত প্রাচীন ভবন, স্থানীয় জনমানুষের ঐতিহ্যবাহী জীবন ধারা-এসবই এ শহরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

হুয়াং ইয়াওকে প্রায়ই বর্ণনা করা হয় এক প্রাচীন কাব্য সংকলন হিসেবে যা উপন্যাসের মতো তরতর করে পড়ে ফেলা যায় না। আপনি যদি আধুনিক জীবনের উদ্দাম গতিতে অভ্যস্ত হন তাহলে হুয়াংইয়াওয়ে নিজেকে খুঁজে পাবেন সম্পূর্ণ অপরিচিত এক নিভৃত জগতে। প্রাচীন আর নান্দনিক সৌন্দর্য্যের সব পরিবেশই যেন মাখামাখি হয়ে আছে ১ হাজার ৩৬ বছরের পুরনো এ শহরটিতে। উঁচু ও প্রাচীন বটগাছগুলো শহরজুড়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, যার অধিকাংশই শহরটির শত শত বছরের রূপ বদলের নীরব সাক্ষী।

শহরটির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে একটি প্রাচীন কুয়ো। এর নাম হচ্ছে 'সিয়ান রেন প্রাচীন কুয়ো'। আসলে এটা হচ্ছে ৫টি কুয়ো নিয়ে গঠিত একটি ঝরনা কুয়ো। ভূগর্ভ থেকে প্রথম ঝরনা কুয়োয় বয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম কুয়োয় পানি ঢোকে। প্রাচীন শহরের অধিবাসী লিয়াং হুয়া কুয়োটি সম্পর্কে বলেন,

এটা হচ্ছে আমাদের হুয়াংইয়াং প্রাচীন শহরের একটি কুয়ো। এর নাম হচ্ছে 'সিয়ান রেন প্রাচীন কুও'। প্রথম কুওয়ের পানি শুধু খাওয়ার জন্য। দ্বিতীয়টি শাক-সব্জী ধোয়ার জন্য। এ দু'টিতে হাত ধোয়া মানা। বাকি তিনটি কুয়ো কাপড় ধোয়ার জন্য।

ভিন্ন ভিন্ন কুয়োর পানির ভিন্ন ভিন্ন ভুমিকা থেকে পুর্বপুরুষের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। কুয়োর কাছাকাছি আছে প্রাচীন শহরের একটি সংস্কৃতি ও তথ্য বিনিময় কেন্দ্র। নারীরা এখানে কাপড় বা শাক-সব্জী ধোয়ার পাশাপাশি প্রাচীন শহরের বিভিন্ন ধরনের তথ্যও বিনিময় করেন। ঠিক সংবাদ ব্রিফিংয়ের মতো।

দুই থেকে পাঁচ মিটার চওড়া রাস্তাগুলো ধূসর-কালো প্রস্তরফলক দিয়ে মোড়ানো।

রাস্তার দু'ধারে শত শত বছর আগের মিং ও ছিং রাজবংশের আমলে তৈরি সারি সারি দোকান আর আবাসিক বাড়ি।


1 2 3