v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-03 17:47:46    
'খু বু ছি' মরুভূমির নতুন পরিবর্তন

cri
    শ্রোতাবন্ধুরা, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের 'এ এর তুও সি' এলাকা হচ্ছে উত্তরাঞ্চলীয় চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।এর প্রাকৃতিক অবস্থা পেইচিংসহ চীনের উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। চীনের সপ্তম বৃহত্তম মরুভূমি ----' খু বু ছি' মরুভূমি এ ' এ এর তুও সি' অঞ্চলে অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিক অবস্থা উন্নত করার জন্য চীন সরকার ধারাবাহিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানও মরুভূমির প্রশাসনে অংশ নিচ্ছে। তাহলে কর্মকান্ডের মাধ্যমে ফলাফল কী হতে পারে? এ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান মরু অঞ্চলের পরিবেশ পরিবর্তণে ফলপ্রসূ অবস্থা সুনিশ্চিত করতে পারবে কী না?

    পশুপালক হেশিগটোগটোহ ছোটবেলা থেকেই 'খু বু ছি' মরুভূমির কাছাকাছি এলাকায় বড় হয়েছে। তিনি জীবনভর যাযাবর জীবন কাটিয়েছেন। মরুভূমির আবহাওয়ায় তৃণভূমির অবস্থা ভালো না থাকা, গরু ও মেষগুলোর শরীরের গঠনও দুর্বল অবস্থায় বড় হতে থাকে । এমন একটি অঞ্চল যেখানে পানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহও নেই। সেখানে হেশিগটোগটোহ পরিবারের জীবন যাত্রা বেশি কষ্টকর হওয়ারই কথা। তবে ২০০৬ সালে তারা চীন সরকারের নতুন করে গ্রামীণ বসতবাড়িতে নিজেদের স্থানান্তর করেছেন। সেখানে তার এখন এক শ'রও বেশি বর্গকিলোমিটারের একটি বসতবাড়ি রয়েছে। তখন থেকেই তিনি স্থিতিশীলভাবে নতুন বসতবাড়িতে বাস করছেন। পশুপালকের নতুন গ্রামাঞ্চলে এখন পানি , বিদ্যুত্ এবং সড়কসহ সব কিছুই রয়েছে। আগের জীবনের কথা ভেবে হেশিগটোগটোহ এখন অনেক মুগ্ধ । তিনি বলেন:" আগের 'খু বু ছি' মরুভূমি সম্পর্কে শুধু দু'এক কথাটি দিয়ে সহজভাবে এর ব্যাপ্তিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। মরুভূমি থেকে বাইরে যেতে হলে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে । এমন কি , তখন বিদ্যুত্ ছিল না এবং আমরা কিছুই করতে পারতাম না। জীবন কাটাতে হতো অনেক ভেতর দিয়ে কষ্টের ।"

    পশুপালকের জন্য তৈরী নতুন গ্রামীণ বসতবাড়িতে স্থানান্তরের পর, জীবন যাত্রার মানের বেশ উন্নতি হয়েছে এবং আয়ও আগের চেয়ে বেশি বেড়েছে। এখন হেশিগটোগটোহ নিজের শাকসব্জীর ক্ষেত্র রয়েছে। নিজেরই নিত্য দিনের খাওয়া মেটানোর পর তিনি অতিরিক্ত শাকসব্জী কৃষি পণ্য বাজারে বিক্রী করে বেশ ভালো লাভ করেন।

    একই সঙ্গে পশুপালকের নতুন গ্রামীণ বসতবাড়ির কাছাকাছি অঞ্চলে একটি পর্যটন এলাকাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বেশি পর্যটক এখানে আসলে হেশিগটোগটোহের বাসা অতিথিদের অভ্যর্থনার হোটেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।এভাবেই হেশিগটোগটোহ পরিবারের আয় এখন আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি হয়েছে। তিনি বলেন:" ২০০৭ সালের গ্রীষ্মকালে আমি মোট ৬০ হাজারেরও বেশি ইউয়ান আয় করেছি। যা ২০০৬ সালের তুলনায় ৩০ হাজার ইউয়ানের বেশি। নতুন গ্রামীণ বসতবাড়িতে এসে পশুপালকের জীবন যাত্রার মান দিন দিন আরো বেশি উন্নত হয়েছে।"

1 2