v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-28 21:48:48    
ভালোবাসা দেশের সীমারেখা পার হয়ে যায়(ছবি)

cri

    বিশ্বজুড়ে কেবল চীনাদের মধ্যেই ভালোবাসার বিনিময় হচ্ছে তা নয়। সিছুয়ানের ওয়েনছুয়ানে ভুমিকম্প হওয়ার খবর জেনে চীনে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রছাত্রীরাও অবিলম্বে দুর্গত অঞ্চলকে অর্থ সাহায্য করেছে। পেইচিংয়ের ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা ইংরেজী, ফরাসী, রুশ, জাপানী, থাই, মঙ্গোলীয়, ভিয়েতনামী, ইন্দোনেশীয় ও কোরীয় এই নয়টি ভাষা মিলিয়ে বিশাল আকারে 'ভালোবাসা' শব্দটি লিখেছেন। অর্থ দান অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর ছাত্র বাবুলো বলেন, 'দুর্গত অঞ্চলে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ অংশ নেয়ার সুযোগ আমাদের নেই। তবে কিছু টাকা বা সামগ্রী যেমন পানি, লেপ বা অন্য জিনিস দিলেও দুর্গতদের কাজে আসবে।'

     ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রী দাই সুয়ে শুয়েন বলেন, 'ইন্দোনেশিয়া দুর্যোগের সময় চীনের সমর্থন পেয়েছে। এখন চীন সমস্যার মুখে পড়েছে, তাই আমাদেরও সাহায্য দেয়া উচিত।'

     জাপানের ছাত্র ওয়েইথেন লিয়ানবাও বলেন, 'অলিম্পিক গেমস চলাকালে আমি সিছুয়ানে যেতে চাই। আমি দুর্গত অঞ্চলের জনগণকে সাহায্য করতে চাই।'

    একটি জায়গা সমস্যায় পড়লে চার দিক থেকে সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত্। সিছুয়ানের ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্পের পর আমরা হৃদয়স্পর্শী সব দৃশ্য দেখেছি। সারা চীনের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এমনকি, ছোট বাচ্চারাও আগ্রহ নিয়ে দুর্গত অঞ্চলের জনগণকে সাহায্য করার আকুল ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। পেইচিংয়ের সিনহুয়া বার্তা সংস্থার কিন্ডারগার্টেনে একটি স্মরণীয় সাহায্য অনুষ্ঠান হয়েছে। ছোট শিশুদের নিজেদের খরচের টাকা সযত্নে দান বাক্সে ফেলতে দেখে ঘটনাস্থলের সকলেই মুগ্ধ হয়েছে। একটি শিশু বলেছেন, 'দুর্গত অঞ্চলের ছোট বন্ধুরা দুর্যোগে তাদের টাকা হারিয়েছে। তাদের টাকা নেই, খাবার নেই, পানিও নেই। আমরা তাদেরকে টাকা দিলে তারা খাবার ও পানি কিনে খেতে পারবে।'

    ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে শিশুদের নিজের তৈরি রঙিন কার্ড লাগানো হয়েছে। এর ওপরে লেখা আছে 'উদ্ধারকারী চাচা ও চাচিরা, আপনাদের কষ্ট হয়েছে।', দুর্গত অঞ্চলের ছোট বন্ধুরা, তোমরা দুঃখ বোধ করো না। আমরা তোমাদের সাহায্য করবো।' শিশুদের এ কথাগুলো সহজ, সরল, তবু এর মধ্য দিয়ে পবিত্র ও পরিষ্কার মানসিকতা ফুটে উঠেছে।

    একটি শিশু নিজের সংগৃহীত ৪০ ইউয়ান চাঁদা দিয়েছে। সে বলেছে, 'আমি সিচুয়ানে নতুন একটি শহর নির্মাণের জন্য টাকা দিতে চাই।'

     আরো কিছু দিন পর পেইচিংয়ের সিনহুয়া বার্তা সংস্থার কিন্ডারগার্টেন সংগৃহীত নগদ টাকা দুর্গত অঞ্চলে পাঠাবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্ব সিছুয়ানের ভূমিকম্প অঞ্চলকে ১০০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি অর্থ সাহায্য দিয়েছে। এই অংক এখনো বাড়ছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)


1 2