শ্রোতা বন্ধুরা, ২০০১ সালের ১৩ জুলাই পেইচিং অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অধিকার পাওয়ার পর থেকে একটানা চার বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গান সংগ্রহ ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে। পেইচিংয়ের শ্রমিকদের সংস্কৃতি ভবনে পেইচিং অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ১০০ দিন বাকি উপলক্ষে বড় আকারের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চতুর্থ পেইচিং ২০০৮ অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত গান সংগ্রহ ও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আজকের চীনের সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আমি ২০০৮ অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত গান সংগ্রহ ও নির্বাচনের বিস্তারিত রিপোর্ট পড়ে শোনাবো।
এখন আপনারা পেইচিং অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ১০০ দিন বাকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের থীম গান শুনছেন। চীনের পপ সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পীরা সমবেত কন্ঠে এই গান গেয়েছেন। তারা সংগীতের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং অলিম্পিক গেমসের প্রতি উত্সাহের সৃষ্টি করেছেন। 'পেইচিং তোমাকে স্বাগত জানায়' শীর্ষক গানটি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পেইচিংয়ের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লোকসংগীতের ধারায় রচিত হয়েছে। এই গানের সুরকার সিয়াও খোর জন্ম পেইচিংয়ে। তিনি পেইচিংয়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন লোকসংগীতের ভিত্তিতে এই গানে সুর দিয়েছেন। সিয়াও খো বলেন, 'আমি চীনা মানুষের গান সৃষ্টি করতে চাই। গানের সুর হচ্ছে ঠিক মানুষের শরীরের বসনের মতো। আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চীনা মানুষদের চীনা কাপড় পরতে হয়। পশ্চিমা কাপড় চীনাদের গায়ে পরলে তা মানায় না। তাই এ গানের সুর পুরোপুরি চীনের ঐতিহ্যিক সুরের ধারা অনুযায়ী সৃষ্টি করা হয়েছে।'
চীনের এক শ জন কণ্ঠ শিল্পী সমবেত কন্ঠে এই গান গেয়েছেন। হংকংয়ের গায়িকা মো ওয়েন ওয়েই এ গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার খুব খুশি হয়েছেন। তিনি সংবাদদাতাকে বলেন, 'অলিম্পিক গেমস আয়োজনের ১০০ দিন বাকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেযার সুযোগ পেয়ে আমি গর্ব বোধ করি। আমি মনে করি, সংগীতের সঙ্গে ক্রীড়াকে সংযোজন করে সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে উপভোগ করা হচ্ছে এর গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য। '
অলিম্পিক গেমসের আয়োজনের অধিকার পাওয়ার পর চীনারা প্রতি দিন 'পেইচিং তোমাকে স্বাগত' জানানোর বাস্তব অনুশীলন করে আসছে। তাইওয়ানের গায়ক লিন চি সুয়েন '২০০৮ পেইচিংয়ে সম্মিলন' গানটি গেয়েছেন। এই গানটি এবারের নির্বাচনে পুরস্কার পেয়েছে। গানের কথা এমন-'হাসির আওয়াজ ও আন্তরিক শুভেচ্ছা পাঁচটি মহাদেশ অতিক্রম করে তোমার কাছে পৌঁছে দেই। নীল আকাশের নিচে সুর্যালোকের উজ্জ্বল হাসি ছড়িয়ে যায়। আমরা আবেগ জড়িয়ে আলিঙ্গন করি। যে কোন রঙের চোখ একই সাদা মেঘ ও নীল আকাশ সবকিছু দেখতে পায়। তুমি বিশ্বের যে কোন কোণ থেকেও অলিম্পিকের পবিত্র অগ্নির উষ্ণতা অনুভব করতে পারো। এক বিশ্ব, এক স্বপ্ন। ২০০৮ পেইচিং তোমাকে স্বাগত জানায়।'
1 2
|