v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-15 20:08:47    
স্থবির হয়ে যাওয়া ইয়াংপুর অর্থনৈতিক উত্থান

cri

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইয়াংপুতে পুঁজি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে । বর্তমানে সেখানে শিল্প প্রকল্পের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি । এর মধ্যে রয়েছে কাগজ , তেল ও গ্যাস ,রসায়ন ও বিদ্যুত্সহপ্রধান প্রধান শিল্প।

    ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইয়াংপু অর্থনৈতিক এলাকা চীনের শাংহাই, থিয়েনচিন এবং তা লিয়ানের পর চতুর্থ বন্দর হয়েছে যেখানে সহায়ক শুল্ক নীতি চালু হয়েছে , যা ইয়াংপু'র উন্নয়নের জন্য অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে । এ সম্পর্কে তিং শাং ছিং বলেন, ইয়াংপু উন্নয়নের দ্বিতীয় বসন্তে প্রবেশ করেছে ।

    এই শুল্ক নীতি ইয়াংপু'র উন্নয়নে নতুন প্রাণ শক্তির সঞ্চার করেছে । নতুন শুল্ক নীতি চালু হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই পুঁজি বিনিয়োগের প্রবণতা আরো ভালো দিকে মোড় নেয় এবং বিদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ।

    এই বন্দর লজিস্টিক সামগ্রী পরিবহন এবং প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের শুল্ক সুবিধা সমৃদ্ধ এক বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা । এ এলাকা বিদেশী পণ্য বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ফেরত দেয়াসহ ধারাবাহিক সহায়ক নীতি ও বিদেশী মুদ্রা প্রশাসনিক নীতি উপভোগ করতে পারে । বিদেশী ব্যবসায়ীরা এখন এ বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।

    ইয়াংপু এলাকার প্রশাসনিক ব্যুরোর অর্থনীতি উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক কুও চাও বলেন, ইয়াংপু'র ওপর বিদেশী ব্যবসায়ীদের মনোযোগ ১০ বছরের আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি । তিনি বলেন, একেবারে শুরু থেকেই ইয়াংপু হল একটি বৈদেশিক উন্মুক্ত এলাকা । এর আগে অনেক বিদেশী ব্যবসায়ী এখানে এসে পুঁজি বিনিয়োগের ভালো সুযোগদেখতে না পেয়ে চলে গেছেন । বর্তমানে অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি সক্রিয়ভাবে ইয়াংপুতে পুঁজি বিনিয়োগে অংশ নিচ্ছে ।

    প্রশাসনিক ব্যুরোর পুঁজি বিনিয়োগ কেন্দ্রের পরিচালক শি চেন বলেছেন, বর্তমানে ইয়াংপু এলাকায় চীনের পুঁজি বিনিয়োগ বেশি । তবে তিনি মনে করেন, শুল্ক রেয়াত এলাকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে । যেমন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় একটি খাদ্য পরিবহন প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়ার একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান পুঁজি বিনিয়োগে অংশ নিচ্ছে । তিনি বলেন, শুল্ক রেয়াত এলাকার সামর্থ্য অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার এ শিল্প প্রতিষ্ঠান চীনের হাইনান, কুয়াংসি ও ভিয়েতনামের কলা এই এলাকায় সংগ্রহ করে প্যাকেজের মাধ্যমে বৃটেন, ফ্রান্স ও ইটালিতে পরিবহন করবে ।

    দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার খাদ্য পরিবহন কেন্দ্র ছাড়া, ইয়াংপুতে চালু হওয়া প্রকল্পের মধ্যে আরো রয়েছে মধ্য-প্রাচ্যের রাসায়নিক শিল্প পার্ক এবং আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক রবার বিনিময় কেন্দ্র ।

    জানা গেছে, ইয়াংপু'র শুল্ক রেয়াত এলাকার নির্মাণ তিন পর্যায়ে সম্পন্ন হবে । অনুমাণ করা হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কাজ সম্পন্ন হবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে । ইয়াংপু এলাকার প্রশাসনিক ব্যুরোর মহাপরিচালক তিং শাং ছিং বলেন, তারা তেল ও রাসায়নিক শিল্প পণ্যের পরিবহন ও লজিস্টিক সামগ্রী পরিবহন কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা চালাবে । ইয়াংপু'র ভবিষ্যত উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমানে ইয়াংপু'র উন্নয়নের সোনালী সময়পর্ব চলছে এবং ভালো সুযোগের মুখে দাঁড়িয়ে আছে । আমরা ইয়াংপু'র উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী । আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ইয়াংপু হাইনানের শিল্পের শীর্ষে অবস্থান করবে।


1 2