হুয়াং চেন
এখন আপনারা হুয়াং চেন ও ইয়ু ছুয়েন এর সমবেত সংগীত 'দৌড়ানো' শুনছেন। গানে একজন তরুণের সুন্দর আদর্শের দিকগুলো প্রকাশিত হয়েছে। এ গানটি বাজারে আসার সাথে সাথেই বহু দর্শক ও শ্রোতা হুয়াং চেন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাকে গ্রহণ করেছেন। 'দৌড়ানো' গানটি এখন হুয়াং চেনের প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে।
গানের কথা এমন, 'বাতাসের গতির সঙ্গে স্বাধীনভাবে দৌড়ানোই আমার উদ্দেশ্য। আমি বজ্র ও বিদ্যতের শক্তিকে সঞ্চয় করি। বিশাল সাগরকে আমার বুক জুড়ে রেখে দিই। ছোট্ট একটি নৌকা হলেই অজানার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে পারি। বাতাসের সঙ্গে মন ওড়ে বেড়ায়। স্বপ্ন হচ্ছে আমার এই ডানা দুটি। বড় বড় ঢেউ এর সম্মুখীন হলেও ভয় করি না।'
হুয়াং চেন পেইচিংয়ের একটি শিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই সংগীতভূবনে পা রাখেন। তিনি পর পর চেলো ও পিয়ানো বাজানো শিখেছেন। একই সঙ্গে সংগীতেও তালিম নিয়েছেন। তিনি পেইচিং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর একটি ব্যান্ড সংগীত দল গঠন করেছেন আর তখন থেকেই গান রচনার কাজেও হাত দেন। ১৯৯৮ সালে হুয়াং চেন সনি ডিস্ক কোম্পানিতে যোগ দেন। তিনি চেন লিন, চিন হাই সিন, মান ওয়েন জুন, মাও নিং ও মান চিয়াংসহ চীনের বহু জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পীদের জন্য বহু গান লিখেছেন। তাঁর সৃষ্ট গানগুলো খুব দ্রুত সারা চীনে জনপ্রিয় হয়ে যায়। গান গাইতে পছন্দ করেন বলে ২০০১ সাল থেকে হুয়াং চেন মঞ্চের পিছন থেকে সামনে চলে এসেছেন। পর পর তিনি রক ও হুয়া ই ডিস্ক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সময় তিনি 'ভোরবেলা', 'প্রেমের নোমান্ডি' , 'একজনের যুদ্ধ' ও 'কোন ভাবেই হাত ছাড়বো না' এই চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ধাপে ধাপে সংগীত ক্ষেত্রে তাঁর নিজের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্রময় গানের শৈলী গড়ে উঠেছে।
এখন আপনারা হুয়াং চেনের গাওয়া 'প্রেমের নোমান্ডি' গানটি শুনছেন। গানে প্রেমের প্রতি পুরুষের একরোখা মনোভাবের কথা বিস্তারিতভাবে ফুটে উঠেছে। গানের কথা এমন, 'আমি কীভাবে তোমার প্রেমের নোমান্ডিতে পৌঁছতে পারি? আকাশ ও সাগরের ব্যবধানের কথা ভেবে আমাদের ভালোবাসা আর ঘৃণার পরিমাপ করো না। আমি কীভাবে তোমার প্রেমের নোমান্ডিতে উঠতে পারি? ভোরবেলায় আমি জান দিয়ে দৌড়াই আর দৌড়াই, যাতে একবার হলেও তোমাকে খুঁজে পাই।'
1 2
|