v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-11 17:54:08    
বিয়ের উপহার নিয়ে দুঃশ্চিন্তার দিন শেষ

cri

    ২০০৮ সাল পেইচিং অলিম্পিকের বছর। এই মহা ক্রীড়াযজ্ঞকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য চীনে এ বছরটি বিয়ের বছরে রূপ নিতে পারে। যেসব যুগল বিয়ে করতে যাচ্ছেন নিঃসন্দেহে তারা ভীষণ উত্তেজিত এবং আনন্দিত। তাই বলে কি তাদের কোনো উদ্বেগ নেই? অবশ্যই আছে। নতুন জীবনে পা রাখার এই সন্ধিক্ষণে হাজারো চিন্তার মধ্যে বড় এক চিন্তার নাম উপহার বা গিফট। বন্ধু বা স্বজনরা ঠিক ঠিক পছন্দের উপহারটা আনবেতো?

    বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া যুগলরা যেমন চিন্তিত তার চেয়েও বেশি চিন্তিত উপহার যারা দেবেন। ঠিক ঠিক উপহারটা খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন কাজ। ধরুন উপহারটা খুব সস্তা হয়ে গেল, সেটা কি হাজারো চোখের সামনে উপহারের টেবিলে রাখা মানায় ? আবার যদি খুব দামী হয় তাহলে টাকার টেনশন। উপহারটা নব দম্পতির রুচিসই হবে কিনা সেটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তাতো রয়েছেই।

    কপালে ভাজ পড়া যুগল ও বিয়ের অতিথিদের দুঃশ্চিন্তা দূর করতেই যেন হাজির হয়েছে উপহার নিবন্ধীকরণ ওয়েব সাইট । এ যেন সর্বরোগহর বা সব সমস্যা দূর করার মোক্ষম দাওয়াই। ওয়েব সাইটটির বয়স দেড় বছর না পেরোতেই তরুণ প্রজন্ম, বিশ্বাসী ক্রেতাদের ভীড় লেগে গেছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে। চীনে প্রথম বারের মতো চালু হওয়া এই বিয়ের উপহার রেজিস্ট্রি  ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন সি আর আই-এর প্রতিবেদক সিয়াও হুয়া-

    পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে উপহার রেজিস্ট্রির বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সেখানে বর কনেরা হর হামেশাই দোকান কিংবা কোনো উপহার রেজিস্ট্রি ওয়েবসাইট থেকে যে সব উপহার চান তার একটি ইচ্ছাপত্র পূরণ করে থাকেন। এর পর তারা তাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেন যেখান থেকে তারা নব দম্পতির পছন্দের উপহারটি বাছাই করে নিয়ে বিয়েতে দিতে পারেন।

    idogifts.com -এর স্রষ্টা চীনা তরুণী ম্যাগি মেং ২০০৩ সালে যখন আমেরিকায় লেখা পড়া করছিলেন তখন উপহারের জন্য এতোসব ধুন্ধুমার আয়োজন আর সার্ভিসদেখে তাজ্জব বনে যান।

    তখন থেকে ম্যাগি মেং-এর মাথায় খেলতে থাকে বিষয়টি। ২০০৬ সালে তিনি যখন পেইচিংয়ে ফিরলেন তখনই ঠিক করে ফেললেন চীনা যুগলদের জন্য এরকম একটি ওয়েবসাইট খুলবেন। তার মুখ থেকেই শোনা যাক সে কাহিনী—

    'বিদেশে এ ধরনের বহু ওয়েবসাইট আছে, কিন্তু চীনে একটাও ছিল না। অথচ এখানে বিয়ের উপহারের এতো চাহিদা! তাই আমি বাইরের দেশ থেকে ঐ মডেল এবং অভিজ্ঞতা চীনে আনতে চেয়েছি। আমি ইচ্ছাপত্র পূরণ করবো আর উপহারের পয়সা দেবেন আপনি'-পশ্চিমা এই মডেলটি চীনাদের কাছে একটু দুরূহ ঠেকতে পারে। তাদের কাছে এটা বড় বেশি সরাসরি বলে মনে হতে পারে, কারণ উপহার দেওয়ার ব্যাপারে চীনারা একটু রক্ষণশীল'।

    এ সব ভেবেই মেং ঠিক করলেন যাদের বয়স ২৬ থেতে ৩৬ বছরের মধ্যে, যারা মুক্তমনা, আধুনিক অথবা বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা আছে তারাই হবেন তার টার্গেট ক্রেতা। তিনি চীনা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে একটি সর্ভিস মডেলও তৈরি করলেন। মানুষের নামের বদলে ওয়েবসাইটের নামে কম্পানি ইচ্ছাপত্র পাঠাবে। তারা ইচ্ছাপত্রটি এমনভাবে তৈরি করবে যাতে সেটা দেখে মনের ওপর তেমন চাপ না পড়ে। ম্যাগি মেং বলেছেন,

  'আমরা ওয়েবসাইট ডিজাইনিংয়ের সময় ইচ্ছাপত্রেশব্দের ব্যবহার এবং ধরন কি হবে সেটা ঠিক করতে গবেষণা গ্রুপ তৈরি করেছিলাম। ক্রেতাদের জন্য কয়েকটি সংস্করণ তৈরি করেছিলাম যাতে তারা সেরাটা বেছে নিতে পারে। যেমন, আমরা এভাবে লিখলাম, 'আপনার বন্ধু জেনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি এই তালিকা থেকে উপহার পেতে চান। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলুন'।

1 2