সান ইয়ায় আসা বিদেশীরা চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ পছন্দ করেন। সান ইয়ায় চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধের নার্সিং হোমে আমাদের সংবাদদাতার সঙ্গে বেলারুশের ইভানের দেখা হয়। এটা তার দ্বিতীয় বার সান ইয়ায় আসা। এখানে চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ব্যবহার করে ইভানের সারভিক্যাল স্পনডিলোপ্যাথি সমস্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে আমার একদম সময় নেই, শরত্কালে আছে। প্রধাণত এখানে এসে আমি সারভিক্যাল স্পনডিলোপ্যাথির চিকিত্সা করি। আমার এখানে এলে খুব অদ্ভূত অনুভূতি হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে সান ইয়ায় আসা বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। যা ২০০৬ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি এবং প্রবৃদ্ধির গতি চীনের শহরগুলোর মধ্যে সবার ওপরে। পর্যটন শিল্প সান ইয়ার হোটেল আর রিয়াল এস্টেটের উন্নয়নে জোয়ার বয়ে এনেছে। এ পর্যন্ত সান ইয়া শহরে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ৯টি ৫তারা হোটেল চালু হয়েছে। এই অত্যাধুনিক হোটেলের ঘনত্ব মূল-ভূভাগের সবচেয়ে উন্নত পেইচিং ও সাংহাই শহরের চেয়েও বেশি। গত বছর একটি ৭তারা হোটেল ও আন্তর্জাতিক ইয়ট হারবার চালু হওয়ায় এটি উচ্চ পর্যায়ের অবকাশ দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সান ইয়া শহরের হোটেল শিল্প সমিতির মহা-পরিচালক লিউ খাই ছিয়াং বলেছেন, এতো কিছুর পরও সান ইয়ায় পর্যটন বাজারে দিন দিন যে পরিমানে চাহিদা বাড়ছে তা পূরণ করা যায় না। তিনি বলেন, ২০০৩ সালের শেষার্ধ থেকে সান ইয়া'র হোটেল শিল্পের উন্নয়ন শরু হয়েছে। চীনের অর্থনীতি এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়ন, পর্যটকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। সান ইয়া সরকার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এ সব পূরণে এক সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসের পর প্রথম এর ফলাফল আসে। হোটেলের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। এখনও এই ধারা অব্যাহত আছে।
চীন সরকারের সান ইয়া শহরকে দেয়া বিশেষ সহায়ক নীতি অনুযায়ী বর্তমানে ২১টি দেশ ও অঞ্চলের পর্যটকরা সান ইয়ায় ভিসা মুক্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এছাড়া বিশেষ উন্মুক্ত বিমান অধিকার নীতির সুযোগে সান ইয়ায় ফিনিক্স আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বেশি বেশি ভাড়া ফ্লাইট সেবা দিচ্ছে। হাই নান প্রদেশের পর্যটন ব্যুরোর মহা পরিচালক চাং ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারে বিশ্বের পর্যটন অনুরাগীদেরকে সান ইয়ায় এসে চীনের সবচেয়ে দক্ষিণের বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে এলে বিদেশী পর্যটকরা অনুভব করতে পারবেন যে, তাদের জন্য হাই নান দ্বীপ কতো অবাধ। শুল্কমুক্ত দোকান, ভিসামুক্ত ব্যবস্থা, মুক্ত বিমান, চীনা স্টাইলের পর্যটন ও অবকাশ স্থাপনা ও চীনের সাংস্কৃতিক পণ্য সবই আছে এখানে। আমি হাই নান প্রদেশের পর্যটন ব্যুরোর পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্ধুদেরকে হাই নানে পর্যটন ও অবকাশ যাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানাই। হাই নান হচ্ছে চীনের গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপ এবং প্রাচ্য অবকাশ স্বর্গ। আমরা আপনাদেরকে স্থায়ী আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।(খোং চিয়া চিয়া) 1 2
|