v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-03 15:08:52    
বা দান চি লিনকে দেখা

cri

 

বা দান চি লিন অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আ লা শান ইয়ো জেলার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এর আয়তন ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের চতুর্থ এবং চীনের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি। বা দান চি লিনে আমাদের সংবাদদাতার সঙ্গে তরুণী পর্যটক মি এর'-এর সঙ্গে দেখা হয়। মি এর বেশ কয়েক বার মরুভূমি অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তবে এটা তার প্রথমবার বা দান চি লিনে আসা। এখানকার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা উঠতেই তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন—

মরু দিগন্তের রঙ যেন রঙধনুর মতো। খুব খুব সুন্দর। আমি সেখানে কয়েকটি ছবি তুলেছি। সত্যিই সুন্দর।

বা দান চি লিনের বালু পাহাড় সেখানকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। হাজার বছর ধরে মরুভূমির ঝোড়ো বাতাসের ঝাপটায় বালু কনা সরতে সরতে উঁচু থেকে আরো উঁচু বালু পাহাড়গুলো তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে উঁচু বালু পাহাড় বি লু থু'র চূড়া সমুদ্র সমতল থেকে ৫শ' মিটার উঁচু। এটা হচ্ছে চীনের এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে উচু বালিয়াড়ি। একে মরুভূমির ছুমোলাংমা পর্বত বলে গন্য করা হয়। ছাই নান হচ্ছেন একটি অভিযাত্রী ক্লাবের দলনেতা। তার নেতৃত্বে একটি অভিযাত্রী দল মরুভূমির সবচেয়ে উঁচু চূড়াটি জয় করেছে। বি লু থু চূড়ায় আরোহণের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন—

বি লু থু চূড়া হচ্ছে 'মরুভূটির ছুমোলাংমা পর্বত এবং সারা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মরু চূড়া। বি লু থু চূড়ায় আরোহণ করা অন্য আরেকটি ছুমোলাংমা পর্বত জয় করার মতোই। চূড়ায় ওঠার সময় আমরা হাত ও পা এক সঙ্গে ব্যবহার করেছি। এক পা এগুলে আধ পা পেছাতে হয়েছে।

তিনি বলেছেন, বা দান চি লিনের অন্য একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এখানকার 'সুরেলা বা মুখর বালু'। বাতাসে উড়ন্ত বালু কনার ঘর্ষনের শব্দের কারণে একে সুরেলা বালু বলা হয়। আবহাওয়ার আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, বাতাসের গতি এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন কারণে সুরেলা বালু'র শব্দও মাঝে মাঝে বদলে যায়। বা দান চি লিনের মরুভূমির বেশির ভাগ জুড়ে রয়েছে ভাসমান বালি। যা মরুভূমির মোট আয়তনের ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকংশ জুড়ে রয়েছে মুখর বালু। ২শ' মিটারেরও বেশি উঁচু বালিয়াড়িও আছে। বালি যখন ওপর থেকে নীচে নামে সে সময়কার শব্দ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়। কোনো কোনো সুরেলা বালু'র শব্দ সঙ্গীতের মতো মধুর আবার কিছু শব্দে গা ছমছম করে ওঠে। এখনকার অভিজ্ঞ দলনেতা ছাই নানও যখন প্রথম বার সুরেলা বালুর আওয়াজ শুনেছিলেন তখন বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন—

যখন আমরা একটি দীর্ঘ বালুভূমিতে নেমে আসচ্ছিলাম, তখন আমাদের পায়ের নিচে ঘর্ষনের শব্দ হচ্ছিল। সে সময় আমাদের অনুভূতি ছিল খুব বিস্ময়কর। অবশেষে আমরা বুঝেছি এটা হচ্ছে সুরেলা বালুর শব্দ। বালি আমাদের পায়ের নিচে ভুতুড়ে শব্দ করছিল আর আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিলাম।


1 2 3