v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-02 20:51:13    
চীনের নামকরা চারুকলা শিল্পাচার্য থু চিয়ে

cri

    আধুনিক চীনের এক শ'জন শিল্পাচার্যের মধ্যে ৪৭ বছর বয়সী থু চিয়ের বয়স সবচেয়ে কম । এর পাশাপাশি তিনি চীনের একজন নামকরা শিল্পপতি হিসেবেও পরিচিত।

    থুচিয়ের জীবনের অভিজ্ঞতা ও তার অর্জিত সাফল্যের জন্য অনেকে তাকে অসাধারণ মানুষ মনে করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে থু চিয়ে স্বয়ংক্রিয় বিদ্যা শিখেন। তিনি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কারখানার পরিচালক ছিলেন। তিনি ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন এবং হংকং , সেনচেন ও সাংহাইয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন । তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ গোষ্ঠী একটি শক্তিশালী শিল্প গোষ্ঠী । ব্যবসা করার পাশাপাশি তিনি কুনি ও ছুরি ব্যবহার করে এক একটি সুন্দর সুন্দরভাস্কর্য সৃষ্টি করেন। তার ভাস্কর্যকর্ম সিংগাপুর , মালয়েশিয়া , জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া , ব্রিটেন , ফ্রান্স , জার্মামী ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত হয়েছে। তার শিল্পকর্ম চীনে ও বিদেশে মোট ১৬০টিরও বেশি স্বর্ণপদক ও রৌপ্যপদক পেয়েছে । বিদেশের অনেক জাদুঘরে তার শিল্পকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে । তিনি এখন চীনের চন্দন ভাস্কর্য গবেষনাগারের প্রধান এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিনিময় , সহযোগিতা ও সমন্বয় কমিটির এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শিল্প কমিটির মহাসচিব ।

    মার্চ মাসের কোনো এক দিন সি আর আইয়ের সংবাদদাতা পেইচিংয়ে থু চিয়ের এক সাক্ষাত্কার নিয়েছেন । থু চিয়ে দেখতে সুন্দর , তার চুলের স্টাইল ও পরিচ্ছদ দেখেই বোঝা যায় তিনি একজন শিল্পী। থু চিয়ে মনে করেন তিনি যে নানা প্রতিকূল অবস্থাতেও শিল্পকর্ম সৃষ্টির চেষ্টা বন্ধ করেন নি , তা' তার পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ।

    ১৯৬১ সালে থু চিয়ে সাংহাই শহরের একটি প্রবাসী চীনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন । সেখানে তিনি তৈলচিত্র ও ভাস্কর্য পড়াতেন । ছোটবেলায় তিনি বাবার কাছ থেকে চিত্রকলা শিখেন। তিনি বলেন , আমার বাবা একজন তৈলচিত্র শিল্পী । ছোটবেলায় তিনি আমাকে ছবি আঁকতে শিখিয়েছিলেন । তাই ছোট বেলা থেকেই আমি চিত্রকলা পছন্দ করি। বাবার সাহায্যে আমি ছোটবেলা থেকেই নানা ধরনের শিল্পকর্ম উপভোগ করতে পছন্দ করি। থুচিয়ে বলেন , তার পূর্বপুরুষরা রাজপরিবারের আসবাসপত্র তৈরীর মিস্ত্রী ছিলেন। তার বাড়ীতে এখনও পূর্বপুরুষদের ব্যবহার করা ভাষ্কর্য নির্মাণের যন্ত্র আছে। তিনি এ সব যন্ত্র দিয়ে ভাস্কর্য তৈরীর চেষ্টা করেন ।

1 2