শ্রোতাবন্ধুরা, ভিটামিন ও খনিজসম্পদের অভাব হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গণ-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের একটি জরুরি সমস্যা। এ সমস্যা উন্নত দেশগুলো মৌলিকভাবে সমাধান করেছে । তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যা বেশ গুরুতর এবং ক্ষতিকর অবস্থানে রয়েছে। চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি সর্বোচ্চ দেশ হিসেবে এখানে ভিটামিন এ, লৌহ এবং আয়োডিনের অভাব চীনা জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। লৌহের অভাব সংক্রান্ত রোগ নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে চীনের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ লৌহ উপাদান সমৃদ্ধ সয়া সস ব্যাপকভাবে তৈরী করে এসেছে। ৪ বছর ধরে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
লৌহ হচ্ছে মানবদেহের জন্য একটি অপরিহার্য খনিসম্পদ। এর অভাব হলে সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কাজে লাগানোর শক্তি কমে যাবে । এমন কি শরীরের অবস্থা বেশি ভাল নয় এমন জনগণের জন্য তাদের ক্ষতির দিকটা আরও বেশি। চীনের রোগ নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের অধ্যাপক ছেন মিং ছুন বলেন,"লৌহের অভাব হলে শিশুদের মনস্তত্ত্বিক এবং শরীর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিকরে। নারীদের জন্য বিশেষ করে প্রসূতীদের মধ্যে মোট ২৩.৫ শতাংশ লৌহের অভাবের কারণে মারা যায়।"
জানা গেছে, চীনে মোট ২০ কোটি চীনা রক্তশুন্যতা জনিত রোগে আক্রান্ত । এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে চীনাদের উদ্ভিদ জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে খাবারগুলোর মধ্যে লৌহের উপাদান নিঃসন্দেহ এ সমস্যা সমাধানের একটি উপযুক্ত উপায়।
চীনের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ চীনাদের খাওয়ার অভ্যাস অনুযায়ী ২০০৩ সাল থেকে পেইচিং , কুই চৌ এবং কুয়াং তুংসহ সাতটি প্রদেশ ও শহরে লৌহ উপাদান সমৃদ্ধ সয়া সস ব্যাপকভাবে তৈরী হচ্ছে ।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগগুলোর প্রচেষ্টায় বর্তমান চীনে লৌহ উপাদান সমৃদ্ধ সয়া সস তৈরী সংক্রান্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হয়েছে ২০টি'র বেশি। একই সঙ্গে লৌহ উপাদানের অভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতিসহ বিভিন্ন বিষয় ম্যাগাজিন , রেডিও টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অধিবাসীদেরকে নিয়মিত জানানো হচ্ছে।
1 2
|