v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-27 16:12:19    
চেংচৌ ওয়েন মিয়াও মন্দির

cri

     এছাড়া, মন্দিরের পিছনের প্রাঙ্গনে কনফুসিয়াসের জীনবযাপন সম্পর্কে ইটের ওপর খোদাই করা একটি বিখ্যাত ভাষ্কর্য রয়েছে । ইটের এ ভাষ্কর্যের উচ্চতা ১.২ মিটার, দৈর্ঘ্য ৩০ মিটারেরও বেশি ,কনফুসিয়াস তাঁর ছাত্রদের শিক্ষা দিচ্ছেন এবং সত্যতার আলোকেই তা সৃষ্টি করা হয় । এ ভাষ্কর্যের মধ্যে ব্যক্তি ও ভবনের আকার সত্যিকার অর্থেই দেখার মতো। এতে চীনের প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক খোদাই প্রযুক্তির গুণগতমান প্রতিফলিত হয়েছে এবং পর্যটকদের পরিদর্শনের প্রধান পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে ।

     বর্তমানে নিরিবিলি এ প্রাঙ্গনের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ঘরগুলো ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পুনর্গঠিত মন্দিরটি চীনের প্রাচীনকালের চমত্কার ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের নতুন স্থানে পরিণত হয়েছে । ক্লাসরুমগুলোয় চীনের প্রাচীনকালের ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষা দেয়ার দৃশ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে , লেখাপড়া করা ছাত্র ছাত্রীরা মাটিতে বসে রয়েছে । তাদের প্রত্যেকের সামনে একটি ছোট টেবিল রয়েছে এবং তাদের লেখাপড়ার বিষয় প্রধানত কনফুসিয়াসের চিন্তাভাবনার ওপর লিখিত বই ।

      চেংচৌ ওয়েন মিয়াও মন্দির একটি হাজার বছরের ইতিহাসিক মন্দির হিসেবে তার প্রাচীনকালের চমত্কার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের গভীর তাত্পর্য বহন করে চলছে । এখানে চীনা সংস্কৃতির শিক্ষক মেং লি বলেন, চীনা সংস্কৃতির শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০০৬ সালের জুলাই মাস থেকে এ মন্দিরে ছাত্র ভর্তি করা শুরু হয়েছে । তাদের লেখাপড়ার বিষয় প্রধানত প্রাচীনকালের বিখ্যাত বই । তারা এখন প্রধানত 'চমত্কার লেখাপড়া', 'অর্থের তত্ত্ব'সহ চীনের বিখ্যাত বইগুলোর ওপর লেখাপড়া করে । আমি মনে করি, তারা যত বেশি সম্ভব প্রাচীনকালের চমত্কার বইয়ের প্রভাব গ্রহণ করবে , তাদের চিন্তাভাবনার ক্ষেত্র উন্নয়নের জন্য তা অনেক সহায়ক হবে ।

     ওয়েনমিয়াও মন্দিরে হেঁটে চলার সময় শিশুদের বই পড়ার কন্ঠে শুনে ও চারপাশে প্রাচীনকালের স্থাপত্য দেখে, এ মন্দিরের পুরনো ঐতিহ্যকে অনুভবও উপভোগ করতে পারি । বন্ধুরা, এ মন্দির হলো চেংচৌ শহরের প্রাচীনকালের সংস্কৃতি সংরক্ষণের একটি বিশেষ জায়গা । যা নিজের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্টের মাধ্যমে এ শহরের ইতিহাস ও ঐতিহাসিক সংস্কৃতির পাঠ স্থান । যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে এখানে এসে কিছু দেখতে ভুলবেন না ।

     আচ্ছা, আজকের অনুষ্ঠান শেষ করার আগে আমি আপনদেরকে এ মন্দির আসার রোডম্যাপ সম্পর্কে কিছু কথা বলবো । চেংচৌ ওয়েনমিয়াও মন্দির চেংচৌ শহরের পূর্ব রাস্তা ও পূর্ব স্ট্রিটের ক্রসিং এলাকায় অবস্থিত । একানে যাতায়াত খুব সুবিধাজনক । আপনি বিমান, ট্রেন বা গাড়ির মাধ্যমে এখানে আসতে পারেন ।


1 2