গত দশ বছরে মানুষের গড়পড়তা আয়ূ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি নোবেল পদক-বিজয়ীদের জীবন ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রের বিশাল অবদানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাদের গবেষণামূলক ফলাফল হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানমূলক বিদ্যাগত ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ মানের প্রতীক। তবে এ পদক-বিজয়ীদের মধ্যে কোন একজন চীনা বিজ্ঞানীও না থাকা দুঃখজনক।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন সরকার জীবন বিজ্ঞান ও জীবানু প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়ি য়েছে। এতেও অনেক অগ্রগিত অর্জিত হয়েছে। চীনের বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের প্রধান চাং ইয়া ফিং বলেন, এ ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির সঙ্গে চীনের সংশ্লিষ্ট ব্যবধান ক্রমেই কমছে। তিনি বলেন ," সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, জীবন বিজ্ঞান এবং জীবাণু প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সৃজনশীল ক্ষমতা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। জীবাণু প্রযুক্তির অর্জিত পেটেন্ট অধিকার সংখ্যা থেকে দেখা যায় যে, ২০০২ সালে চীনের আন্তর্জাতিক পেটেন্টের সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।"
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান এবং জার্মানির পর চীন আন্তর্জাতিক মানুষের জীন-এর জে ওপর গবেষণায় অংশ নেয় এবং সাফল্যের সঙ্গে এর ১ শতাংশের মত পরীক্ষামূলক কাজ শেষ করেছে। এ থেকে বুঝা যায় যে, চীনের জীনের ও পর গবেষণা বিশ্বের সঙ্গে সমমানের অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। জীনের ওপর গবেষণাকারী মিঃ ইয়ু আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়া এ জীনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি প্রত্যেকেই নিজের জীনের ওপর পরীক্ষা নিতে পারেন ,তাহলে জন্মগ্রহণের পর কী ধরণের রোগে আক্রান্ত হবেন, তা নিশ্চিতভাবে জানতে পারবেন। এভাবেই কার্যকরভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব স ক্ষম। তিনি বলেন:" ১৯৮৪ সালে একজন মানুষের জীণ পরীক্ষা নেয়ার ব্যায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৪ এবং ২০০৬ সালে এর খরচ পৃথক পৃথকভাবে হলো ৩ কোটি এবং ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে শুধু মাত্র ১ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করে পুরোপুরিভাবে একজন মানুষের জীণ পরীক্ষা করতে পারবেন।"--ওয়াং হাইমান 1 2
|