v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-13 16:51:26    
চেঙ্গিস খানের সমাধি

cri
    চেঙ্গিস খান প্রাচীনকালের মঙ্গোলিয় জাতির একজন স্থপতি ও বীর হিসেবে বিখ্যাত । ১৩ শতাব্দীর শুরুতে তিনি এশিয়ার উত্তরাঞ্চলের তৃণভূমির বিভিন্ন অঞ্চল একীকরণ করে মঙ্গোলিয়া দেশ প্রতিষ্ঠা করেন ।

    তারপরের কয়েক দশকে চেঙ্গিস খান নিজেদের বাহিনী নিয়ে মঙ্গোলিয়া দেশের মাতৃভূমি সম্প্রসারণ করে ইউরোপ ও এশিয়া অতিক্রম করে একটি মহান দেশ প্রতিষ্ঠা করেন । যদিও এ নির্ভেজাল গল্প সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসে পরিণত হয়েছে, তবে চীনের অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার ওরটোস তৃণভূমিতে অবস্থিত চেঙ্গিস খানের সমাধি মঙ্গোলিয়া জাতির স্মৃতিসৌধ হিসেবে মঙ্গোলিয় জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি বহন করে চলেছে । ছি ইরদেনিবোলেত হলেন চেঙ্গিস খানের ৩৪তম বংশধর এবং অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার সর্বশেষ দলপতি । তিনি বলেন, চেঙ্গিস খান হলেন মঙ্গোলিয়া জাতির গর্ব ।

    প্রাচীনকালে মঙ্গোলিয়ার বিভিন্ন রাজা শপথ গ্রহণের আগে চেঙ্গিস খানের সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন । সাধারণ লোকজন চা বা খাবার খাওয়ার আগে কিছু খাবার ও মদ চেঙ্গিস খানকে উত্সর্গ করেন ।

     চেঙ্গিস খান মঙ্গোলিয় জাতির একজন সকলতম রাজনীতিক ও সেনাবিদ । তিনি মঙ্গোলিয়ার বিভিন্ন দলের একীকরণের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন । ১২ শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি সেনাবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন যুদ্ধে জয় লাভের পর উত্তর চীনের মঙ্গোলিয়া মালভূমি একীকরণ করেন এবং মহান দেশ প্রতিষ্ঠা করেন । ১২২৭ সালে যুদ্ধ চলাকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন । ইতিহাস থেকে জানা গেছে, তাঁর মৃতদেহ আরথাই পাহাড়ের দক্ষিণাঞ্চলে রাখা হয়েছে । তবে আজ পর্যন্ত তাঁর মৃতদেহ আসলে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে তা জানতে পারা যায় নি ।

    চেঙ্গিস খানের মৃত্যুবরণের পর তাঁর বংশধর তাঁর ঘোড়ার জিন, পতাকা এবং ঘোড়ার চাবুকসহ বিভিন্ন জিনিস ৮টি সাদা তাঁবুতে রেখে শ্রদ্ধা জানানো হয় । ১৫ শতাব্দীর মধ্য ভাগে এসব জিনিস ওরটোসে স্থানান্তরিত হয় । পরে বার বার যুদ্ধ ঘটার কারণে চেঙ্গিস খানের সমাধি কয়েকবার স্থানান্তরিত হয়। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর মঙ্গোলিয় জাতির লোকদের আবেদনে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে চেঙ্গিস খানের সমাধি ওরটোসে ফিরিয়ে আনেন ।

    দু'বার সংস্কারের পর বর্তমানে চেঙ্গিস খানের সমাধি তৃণভূমিতে রাখা হয়েছে । তিনটি মঙ্গোলিয় তাঁবুর প্রাসাদ এক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে । দেখতে মহান ও বেশ সুন্দর । সমাধির প্রধান হলে একটি ৫ মিটার উঁচু মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরী চেঙ্গিস খানের ভাষ্কর্য রয়েছে । ভাষ্কর্যের পিছনে রয়েছে বড় আকারের একটি মানচিত্র এবং এর সামনে একটি মাখন বাতি একটানা জ্বলে চলছে । পিছনের হল এবং পূর্ব ও পশ্চিম হলে চেঙ্গিস খানের তিন স্ত্রীর মৃতদেহ এবং তাঁর সোনালী ঘোড়ার জিন ও উত্সর্গিত দূধের বালতি রাখা আছে ।

    পর্যটকরা চেঙ্গিস খানের সমাধিতে আসার পর পরিদর্শনের পাশাপাশি মঙ্গোলিয় জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উত্সর্গিত অনুষ্ঠানও দেখতে পারেন । চেঙ্গিস খানকে উত্সর্গ করা অনুষ্ঠানটি হলো মঙ্গোলিয় জাতির উত্সর্গিত অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ ধারণা । উত্সর্গিত অনুষ্ঠানটি চেঙ্গিস খান সমাধির রক্ষীদের পরিচালনা করতে হবে । কুরিজাবু হলেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতি ,তিনি বলেন,  আমি চেঙ্গিস খানের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বোওয়ারশু'র ৩৮তম বংশধর । আমাদের পরিবার পুর্বপুরুষ বোওয়ারশু'র আমল থেকে চেঙ্গিস খানের সমাধি রক্ষা ও পরিচর্যার কাজ করছে এবং উত্সর্গিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে । আমাদের কাজ হচ্ছে সংরক্ষণের পাশাপাশি পবিত্র বাতি জ্বালানোও ধর্মীয় শাস্ত্র পড়া । এর পরে আমি এসব দায়িত্ব আমার ছেলেকে শিখাবো ।


1 2