পুরনো সড়কের দৃশ্য সংরক্ষণের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ার সড়কের আগাগোড়া সংস্কার করা হয়েছে। এখনকার স্থাপত্য ইউরোপীয় স্টাইলের। বিয়ার সড়কে এলে, মনোযোগী পর্যটকরা আবিষ্কার করবেন যে, সড়কটি সাধারণ ধূসর সাদা পাথর নয়, মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি। সবুজ হচ্ছে সড়কের প্রধান রঙ এবং সড়কের কিনারা লাল ও সাদা। সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি স্থাপত্যরীতিতে অনাড়ম্বর প্রাচীন শৈলীর সংমিশ্রনে সড়কটি আরো সুষমামন্ডিত হয়ে উঠেছে। পুরনো স্টাইলের বিয়ার গ্লাস, জলের ফোয়ারা, ঝিনুক ও হেয়াটেল মাছসহ ২০ ধরনেরও বেশি ছবি, এমনকি কুয়ার ঢাকনার ডিজাইন এই বিয়ারের সঙ্গে সম্পর্কিত। ছবিগুলোতে ছোট ছোট আদুরে প্রাণীর কার্টুনগুলোকে ছিংতাও আন্তর্জাতিক বিয়ার উত্সবের কল্যাণের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। বিশ্রাম চেয়ারগুলোর আকার হচ্ছে লম্বালম্বি ফালি করে কাটা বিয়ারের বোতলের মতো। পথের নাম ফলক এমনকি ডাস্টবিন পর্যন্ত বিয়ার বোতলাকৃতির। ফুটপাথের উপরে টানানো শামিয়ানাও ইউরোপীয় স্টাইলের ও সাদা রঙের। এ সব শামিয়ানা রোদ ও শব্দ ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে সড়কের সৌন্দর্যও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিয়ার সড়কে একটি প্রাচীন ও আধুনিক ডিজাইনের মিশেলে তৈরি ছিংতাও বিয়ার জাদুঘর আছে। ২০০৩ সাল ছিল ছিংতাও বিয়ারের শত বার্ষিকী। ছিংতাও বিয়ার কোম্পানি একশ' বছরের পুরনো কারখানাটিকে 'ছিংতাও বিয়ার জাদুঘরে' রূপ দিয়েছে। এটা চীনের প্রথম বিয়ার জাদুঘর। এখন এই জাদুঘরটি চীনের গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ১৯০৩ সালে স্থাপিত ছিংতাও বিয়ার কম্পানির—৫৬ নম্বর দোংচৌ রোডে অবস্থিত জাদুঘরের একটি স্লোগান হচ্ছে আমাকে মাত্র একটি ঘন্টা দেন, আপনাকে একশ' বছর ফিরিয়ে দেবো। জাদুঘরের পরিচালক তোং ফাং ব্যাখ্যা করে বলেছেন—
বিয়ার জাদুঘর ঘুরে দেখতে এক ঘন্টা লাগে। এক ঘন্টার পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে ছিংতাও বিয়ারের একশ' বছরের বিকাশের ইতিহাস উপলব্ধি করা যায়। পর্যটকরা ঘুরে ঘুরে ছিংতাও বিয়ার কারখানার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং বর্তমানের গৌরবজনক অবস্থা নিজ চোখে দেখতে পারবেন। পাশাপাশি এখানে চীনের প্রথম বিয়ার কারখানার বিয়ার বানানোর আগেকার রীতি, প্রযুক্তি এবং বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উন্নততর বিয়ার বানানোর প্রযুক্তি দেখা যায়। 1 2
|