v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-03 19:15:39    
চীনের হাং চৌ শহর চিকিত্সা ক্ষেত্রেস্থানীয় অধিবাসীদের সুনিশ্চয়তা এনে দিয়েছে

cri

    ২০০৬ সালে হাং চৌ-এর একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিতে কাজ করা চীনের চিয়াং সি প্রদেশের অধিবাসী লিউ চিয়ান সিং ইউরিনেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন। প্রাণ রক্ষার জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে তাকে দু'বার রক্ত পরিবর্তনের চিকিত্সা গ্রহণ করতে হয়। এভাবে প্রতিমাসে তার চিকিত্সা ক্ষেত্রে ব্যয় হয় কমপক্ষে ৬ হাজার ইউয়ান। কিন্তু লিউ চিয়ান সিং দম্পতির মাসিক আয় মাত্র ৩ হাজার ইউয়ান। সৌভাগ্য যে চলতি বছর একটি নতুন নীতি অনুযায়ী, লিউ চিয়ান সিং প্রতিমাসে শুধু ১০০ ইউয়ান জমা দিয়ে হাং চৌ-এর অধিবাসীদের মত একই রকমের চিকিত্সা বীমায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন। এ চিকিত্সা বীমায় অংশগ্রহণের সব খরচ রোগী, তার শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার তিন পক্ষের যৌথভাবে বহন করতে হয়। লিউ চিয়ান সিং বলেন:" চিকিত্সা বীমা না থাকলে, আমার চিকিত্সা সম্ভব হতো না।"

    চিকিত্সা বীমার সহায়তায় লিউ চিয়ান সিং-এর রোগ নিবারণের আস্থা পুনরায় ফিরে এসেছে। এখন তাঁর মা নিজের একটি কিডনির পরিবর্তে লিউ চিয়ান সিংয়ের শৈল্য চিকিত্সাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ শৈল্য চিকিত্সার খরচ এবং এর সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় ঔষধের খরচের বেশির ভাগই তার চিকিত্সা বীমা থেকে বহন করা হয়।

    ২০০১ সালে হাং চৌ শহরে চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ২০০৭ সালের আগে, লিউ চিয়ান সিংয়ের মতো অন্য জায়গা থেকে হাং চৌ শহরে কাজ করতে এসেছে এমন শ্রমিক,তাদের ছেলে মেয়ে এবং কিছু কিছু বুড়ো-বুড়িকে এ চিকিত্সা বীমায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

    ৭১ বছর বয়সী জাও ছাই ইয়ুনও এ চিকিত্সা বীমায় লাভবান একজন অধিবাসী । ২০ বছর আগে তিনি লিয়াও নিং প্রদেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে অবসর নেয়ার পর তার স্বামীর সঙ্গে হাং চৌয়ে চলে এসেছেন। তাঁর স্বামী হাং চৌ শহরের চিকিত্সা বীমা ভোগ করেন। তবে জাও ছাই ইয়ুন লিয়াও নিংয়ে কাজ করার কারণে হাং চৌ শহরের চিকিত্সা বীমা ভোগ করতে পারতেন না। ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল হাং চৌ শহরের " বুড়ো-বুড়িদের চিকিত্সা বীমার নিয়ম-বিধি " চালু হওয়ার পর, জাও ছাই ইয়ুনের মতো অন্য জায়গা থেকে হাং চৌয়ে আসা বুড়ো-বুড়িদেরও এ বীমার আধীন আনা হয়েছে। তিনি বলেন:" আমি একজন বিলিয়ারী লিথিয়াসিস্ রোগী। দশ বছর ধরে আমি প্রতিদিন ঔষধ খেয়ে আসছি। মাঝে মাঝে রোগের অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে চলে যেতে হয়। তবে হাসপাতালে চিকিত্সা গ্রহণের খরচ প্রচুর। সৌভাগ্যক্রমে এবারের চিকিত্সা বীমা আমার খরচের সব সমস্যা নিরসনের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।"

1 2