হুঁক্কার প্রতীক ঝোলানো এ পশমী সুতোর দোকানের নাম থিয়েন হো ছেং । কেন এ দোকানের বাইরে একটি হুঁক্কার প্রতীক ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ? প্রাচীনকালে একজন নারী থিয়েন হো ছেং দোকানে সুতো কিনতে যায় তবে সে কোনো লেখা পড়তে পারে না বলে সবসময় অন্য দোকানে যায় । থিয়েন হো ছেং দোকানের মালিক তাই তার জন্য দোকানের সামনি একটি বড় হুঁক্কার প্রতীক ঝুলিয়ে রেখেছেন । যাতে সবাই এ প্রতীক দেখে বুঝতে পারে তা হলো থিয়েন হো ছেং-এর সুতোর দোকান ।
আপনারা জানেন এতো সুন্দর ও জটিল পেইচিং-এর রাস্তার দৃশ্য যাদুঘরের পরিচালক চাং ইউ চুন নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন এবং এ কাজ সম্পন্ন করতে তার তাঁর ১০ বছর সময় লেগেছে । ৪৭ বছর বয়স্ক চাং ইউ চুন ডাক বিভাগে শিল্পকর্ম শাখায় কাজ করেছিলেন , তাঁর বেতন ছিল স্থিতিশীল । তবে তিনি প্রাচীনকালের পেইচিং-এর সংস্কৃতিকে পছন্দ করার কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তাঁর সঞ্চিত সকল আয় দিয়ে এ যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন । ক্ষুদ্রচিত্রাঙ্কনে মাটি দিয়ে সব মানুষের ভাষ্কর্য তিনি নিজেই তৈরি করেন এবং রাস্তার সাজানোর জন্য পুরনো জিনিস সংগ্রহ করার কাজে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন । তাঁর ক্ষুদ্র চিত্রাঙ্কন সম্পর্কে চান ইউ চুন আবেগপূর্ণ বলেন, এ ক্ষুদ্র চিত্রাঙ্কন তৈরির শুরুতে আমি তা দেখাব জন্যে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি । আমার মনে হয়েছে নিজেই যেন পুরনোকালের পেইচিং-এর অলিগলিতে ফিরে এসেছি । আমি অলিগলিতে বহুবার হেটেছি এবং প্রতিবারই ভিন্ন রকমের ভিন্ন স্বাদ অনুভব করেছি । সকাল, দুপুর ও রাতে এ অলিগলি আমাদের চোখে ভিন্ন রকমের অনুভব সৃষ্টি করে । আমি মনে করি, তা খুবই সুন্দর ও আনন্দদায়ক। আমি যেন সবসময় তার সঙ্গেমিশে রয়েছি ।
1 2
|