চলতি বছর গ্রীষ্মকালে ২৯তম পেইচিং অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে । ৩০০০ বছরের এ প্রাচীন শহরটি ইতোমধ্যেই দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করছে ।
আজকের অনুষ্ঠানে আমরা পেইচিংয়ের পুরনো রাস্তাগুলো ঘুরে দেখবো এবং পেইচিংয়ের প্রাচীনকালের বৈশিষ্ট্য ও রীতিনীতি অনুভব করবো ।
পেইচিংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত লুকৌ সেতুর কাছাকাছি ওয়ানপিং শহরে 'হুথোং চাং'নামক পেইচিং-এর একটি ঐতিহ্য সমৃদ্ধ যাদুঘর রয়েছে । পেইচিংয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি একনিষ্ঠ একজন অধিবাসী নিজের উদ্যোগে এ ব্যক্তিগত যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছেন ।
হুথোং অথবা অলিগলি হলো পেইচিংয়ের প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক সংস্কৃতির প্রতীক, চাং হলো এ যাদুঘরের গৃহকর্তার পরিবারের নাম । এ যাদুঘরের প্রদর্শনীর ক্ষেত্রের আয়তন ৭০০রও বেশি বর্গমিটার এবং এতে পেইচিংয়ের কয়েক হাজার ঐতিহাসিক কারুশিল্প ও চিত্রকলা ছাড়াও কয়েক শো ঐতিহাসিক আলোকচিত্র রয়েছে ।
হুথোংচাং যাদুঘরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের কানে পেইচিং-এর ঐতিহাসিক সংগীতের সুর ভেঙে আসবে এবং প্রাচীকালে পেইচিং-এর অধিবাসীরা যে সব জিনিসপত্র ব্যবহার করতো সে সব পুরনো জিনিসপত্র দেখে যাবে। প্রদর্শনী দ্রব্যগুলোকে যাদুঘরের কর্মীরা গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন । এর মধ্যে সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন 'পেইচিং অনুভব'নামক একটি ১০০ মিটারেরও বেশি লম্বা পেইচিংয়ের প্রাচীনকালের একটি রাস্তার দৃশ্যের ক্ষুদ্র চিত্রাঙ্কন । তাতে ২০ শতাব্দীর ২০-এর দশকে পেইচিং-এর রাস্তার দৃশ্য ও সংস্কৃতি এবং অধিবাসীদের জীবনযাত্রার ধারা প্রতিফলিত হয়েছে । পেইচিংয়ে প্রাচীনকালের ১৪০টিরও বেশি বিখ্যাত দোকান রয়েছে । তেল ও লবণের দোকান, সুতোর দোকান, কাপড়ের দোকান এবং আজ পর্যন্ত বিদ্যমান পেইচিংয়ের পুরনো বিখ্যাত দোকানগুলোও রয়েছে । রাস্তা জুড়ে ১০টিরও বেশি পুরনো ধরনের পরিবহন যন্ত্রপাতি এবং মাটি দিয়ে তৈরি মানুষের ভাষ্কর্যে নানা ধরনের অভিব্যক্তি অবনোকণ করা যায় । বিশেষ করে তাদের কাপড় চোপড় ও আচরণ কোনোটাই একই ধরনের হয় না । আমাদের গাইড লিউ ছেনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পেইচিং-এর আঞ্চলিক ভাষা শোনার সঙ্গে সঙ্গে এ যাদুঘর পরিদর্শন করার সময় মনে হবে যেন প্রাচীনকালের রাস্তায়ঘুরে বেড়াচ্ছি ।
1 2
|