২.মোবাইল ফোনের সঙ্গে কনুইর সম্পর্ক:
মোবাইল ফোনের সঙ্গে কনুইর সম্পর্ক থাকায় মানুষের কনুই'র রোগ দেখা দেয় । এ ধরনের রোগীরা অধিকাংশই অফিসের কর্মী । যারা প্রতিদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলা বা এসএমএস পাঠানোর জন্য ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ব্যয় করে তারা সহজেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । জানা গেছে, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার শুরুতে লোকজনের কনুইতে ব্যথা হয় ও অচেতনভাব লাগে এবং উপর দিকে কনুই উঠাতে কষ্ট হয় । কারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলার সময় হাত বাকা করা অবস্থায় বজায় থাকে , দীর্ঘকাল ধরে এমন থাকার ফলে সহজেই হাতের স্নায়ুর ক্ষতি হয় এবং ভারী জিনিস নেয়ার সামর্থ্যও অনেক কমে যায় । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা সবসময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের টেলিফোন করার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করা ভালো । এর মাধ্যমে হাতের দীর্ঘকালীন বাঁকা করে রাখার অভ্যেস এড়ানো যায় এবং টেলিফোন করার পর শরীরের জন্য কিছু চর্চা করা বা গরম তোওয়ালে চেপে রেখে হাত ম্যাঃসাজ করা ভালো ।
৩. স্ক্রিনে চেহারার প্রতিফলন :
প্রতিদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা লোকজন দীর্ঘকাল ধরে কম্পিউটারের স্ক্রিনের মুখোমুখি থাকার কারণে তাদের মুখের ভাব কমে যায় এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সামর্থ্যও কম থাকে । ফলে সহজেই তাদের জীবনে বিষন্নতা ঘীরে ধরবে । তাছাড়া, কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত গামা রস্মির কারণে বিদ্যুত্ প্রবাহের সৃষ্টি হয় । দীর্ঘকাল ধরে কম্পিউটারের স্ক্রিনের মুখোমুখি বসার কারণে লোকজনের চেহারায় সহজেই মেচেতা ও ভাঁজ পড়বে । এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার সময় আমাদের মুখ আর স্ক্রিনের সঙ্গে দূরত্ব কমপক্ষে ৭০ সেন্টিমিটার থাকা এবং গুণগতমানসম্পন্ন কম্পিউটার টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করা উচিত । তাছাড়া কম্পিউটারের সামনে এক ঘন্টা বসার পর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে চোখকে বিশ্রাম দেয়া ভালো । কাজ করার পর ভালভাবে চেহারা বিশুদ্ধ ও হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলা ভালো ।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আমি আপনাদেরকে দীর্ঘকাল ধরে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের সহজেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা এবং তা প্রতিরোধ করা সংক্রান্ত পদ্ধতির কথা জানালাম । আশা করি, আপনারা এসব তথ্য জানার পর এসব রোগে আক্রান্ত না হন সেই ব্যবস্থাই করবেন । 1 2
|