v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-15 15:38:50    
বুড়ি মা চাং সুচেন ও তাঁর চা

cri

সবার ধারণা , চীনে চা-য়ের ইতিহাসে শুধু দক্ষিণ চীনে চা উত্পাদিত হয় । কিন্তু সেনসি প্রদেশের সাংনান জেলার সিনিয়র কৃষি প্রকৌশলী মাদাম চাং সুচেন ৩০-৪০ বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর সাফল্যের সঙ্গে দক্ষিণ চীনের চা'কে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে স্থানান্তর করেছেন । যার ফলে উত্তর চীনের সেনসি প্রদেশের পাহাড়ী এলাকাভূক্তসাংনান জেলার কৃষকরা চা উত্পাদনের মাধ্যমে ধনী হতে পেরেছেন এবং গত দু হাজার বছরেরও বেশি সময়ের উত্তর চীনে চা উত্পাদন না হওয়ার ইতিহাস পরিবর্তিত হয়ে গেছে ।

বুড়ি মা চাং সুচেনের শরিরের গঠন মাঝারি এবং দেখতে কিছুটা মোটাসোটা। তার বয়স প্রায় ৭০ বছর হলেও তিনি খুব দ্রুত চলাফেরা করেন । তিনি এখনো কাজে ব্যস্ত আছেন । সাংনান জেলার চা বাগানে প্রায়ই তাকে দেখা যায় । স্থানীয় চা-কৃষকরা আদর করে তাকে "চা মা" ডাকেন ।

সাংনান জেলার চা সম্পর্কিত গল্পবলতে গেলে বুড়ি মা চাং সুচেনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আগে জানতে হবে । কারণ তিনিই সাংনান জেলায় সর্বপ্রথম চা-এর গাছ লাগিয়েছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বনবিদ্যার ওপর লেখাপড়া করেছেন । ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে সাংনান জেলায় এক বন বিষয়ক কর্মকর্তার কাজ নেন । সেসময় সাংনান জেলার জনগণ খুবই গরিব ছিলেন । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা শিখেছেন স্থানীয় জনসাধারণের উত্পাদন ও জীবনযাপনের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে চেয়েছেন এবং পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক ধরণের গাছ লাগানোর চেষ্টা করেছেন । কিন্তু তা সফল হয়নি । এ সম্পর্কে তিনি বলেন, পাহাড়ী এলাকার জনগণকে সমৃদ্ধ করে তোলা বন বিষয়ক কর্মীদের দায়িত্ব ।

দক্ষিণ-উত্তর জলবায়ু সংলগ্ন ছিনলিন পর্বত এলাকায় অবস্থিতসাংনান জেলা উদ্ভিদ সম্পদে সমৃদ্ধ । কিন্তু পাহাড়ী পথ অত্যন্ত দুরূহ । বুড়ি মা চাং সুচেন বাধাবিঘ্নকেভয় না করে সাংনান জেলার প্রতিটি পাহাড় ও নদনদী ঘুড়ে ঘুড়ে উপলব্ধি করেছেন , সাংনান জেলা একটি গরিব পাহাড়ী এলাকা হলেও সেখানকার মানুষ চা খুবই পছন্দ করেন । "তিনদিন লবন না থাকলেও চলবে কিন্তু একদিন চা না খেলে চলবে না" কথাটা রীতিমত স্থানীয় লোকদের জীবনযাপনের অভ্যাসের পরিচায়ক ।

১৯৬২ সালে বুড়িমা চাং জেলানগর থেকে ৫০ কিলোমিটার সুইকৌ সিয়াং থানায় বনশিল্প সম্পর্কে জরিপ চালানোর সময় হঠাত একটি কৃষিজমিতে ৯টি চায়ের গাছ আবিষ্কার করেন । তাঁর পক্ষে এটা যেন এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কারের সমান । তিনি নিশ্চিত হলেন যে , সাংনান এলাকায় চায়ের গাছ লাগাতে পারলে ব্যাপকাকারে চা উত্পাদন করা সম্ভব হবে । তাহলে সাংনান এলাকার মানুষরা নিজেরা চা খেতে পারবেন এবং চা উত্পাদনের মাধ্যমে আয়ও বাড়াতে পারবেন । এর পর মাদাম চাং চা চাষ করার কাজ শুরু করেন ।

 

1 2