তিনি বলেন, নিজের সর্বাধুনিক কম্পিউটারের মাধ্যমে চীনা সহকর্মীদের অভিজ্ঞতা সমন্বিত করে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় তৃণভূমির প্রাকৃতিক পদ্ধিতির পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা । এর মাধ্যমে একটি অবিরাম উন্নয়নের ধারা খুঁজে বের করতে পারা যাবে। তাঁর অনেক ধারণা সম্পর্কে চীনা সহকর্মীরাও একমত প্রকাশ করেছে । তৃণভূমি গবেষণা ক্ষেত্রে চীনা সহকর্মীদের অনত্যম এবং কান সু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ প্রধান উ চিয়ান ফিং বলেন :" জোনস এ ক্ষেত্রের একজন অংশগ্রহণকারী হিসেবে তৃণভূমির উন্নয়নে অনেক অবদান রেখেছেন। তার ধারণা অনেক উন্নত। তার সহায়তায় অন্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরাও গভীরভাবে তৃণভূমির উন্নয়নের পদ্ধতি জানতে সক্ষম হচ্ছে। এ জটিল পদ্ধতি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলে আমরা যেমন উত্পাদন বৃদ্ধিসহ উন্নয়নের পরিবেশ সুরক্ষার একটি কার্যকর প্রস্তাব পেশ করতে পারবো। এর ফলে পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব হবে।"
২০০২ সালে কান সুতে নিউজিল্যান্ড সরকারের এক সহায়তা কর্মসূচীতে অধ্যাপক উ চিয়ান ফিংয়ের সঙ্গে জোনসের পরিচয় হয়। কয়েক বছরের যোগাযোগের মাধ্যমে অধ্যাপকের অনুভতি হলো এ অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ একজন খুবই বিবেকবান মানুষ। উ চিয়ান ফিং বলেন:" জোনসের সাথে যোগাযোগের শুরুর দিকে আমার অনেক ভাল লাগ তো। তিনি স্থানীয় কর্মকর্তা, কৃষি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, ডক্টর এবং আমাদের শিক্ষকদের সাথে সহজভাবে মিলেমিশে থাকতে পারেন।তারা একসাথে খেলা-ধুলা করেন। তিনি চীনা ভাষা শিখতেও আগ্রহী। ক্রমে ক্রমে তিনি কিছু কিছু সহজ চীনা বলতে শুরু করেন।"
তৃণভূমির উন্নয়নে জোনসের বেশ কিছু ধারণা এখন কান সু প্রদেশের অনেক পরিক্ষামূলক জেলায় চালু হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছেন।
এ বছর জোনসের কার্যমেয়াদ শেষ হবে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন , ভবিষ্যতে তিনি পুনরায় চীনে এসে কাজ করার সুযোগ পাবেন।--ওয়াং হাইমান 1 2
|