v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-11 19:41:42    
চিকিত্সাবিদ্যার সঙ্গে ইদুরের " বিশেষ সম্পর্ক"

cri

    শ্রোতাবন্ধুরা, ২০০৮ সাল হচ্ছে চীনের চান্দ্র পঞ্জিকা অনযায়ী ইদুর বছর। আগে ইদুরের মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতো বলে ইদুরের প্রতি ছিল সবার ঘৃনা। তবে চিকিত্সাবিদ্যার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানবজাতির স্বাস্থ্য রক্ষায় পরীক্ষাগারে ইদুরগুলোর বিশাল অবদান ।

    চীনের শাং হাই শহরের একটি পরীক্ষাগারে ডক্টর তিং ইয়ু ছিয়াং ইদুর নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি অনেক ইদুরকে মাটির ১ মিটার ওপর একটি ডাইসে রেখে দেন। ডাইসের এক পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি আছে এবং আরেক পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি নেই। পরীক্ষায় দেখা যায় যে, কিছু কিছু ইদুর নিরাপত্তা বেষ্টনির পিছনে আশ্রয় নেয় এবং কিছু কিছু ইদুর নিরাপত্তা বেষ্টনির বাইরে খেলা-ধূলা করে। তিং ইয়ু ছিয়াং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, নিরাপত্তা বেষ্টনির পিছনে আশ্রয় নেয়া ইদুরগুলোর ওপর গবেষণামূলক চিকিত্সার প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হয়েছে। আসলে পরীক্ষাকারী ইদুরের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে মানুষের উদ্বেগের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ডক্টর তিং ইয়ু ছিয়াং বলেন:" মানুষের বিষন্নতাসহ নানা ধরণের চেতনা লুপ্তি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে ইদুরের ওপর পরীক্ষায় এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।"

    তিং ইয়ু ছিয়াংয়ের এ ধরণের পরীক্ষার মতো চীন এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন পরীক্ষাগারে এ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা এখন নিয়মিত চলছে। ২০ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে রোগ প্রতিরোধক গবেষণার ক্ষেত্রে ইদুর মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারী প্রাণী হিসেবে সংশ্লিষ্ট ওষুধ তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। মানুষের রোগ প্রতিরোধে ইদুরের অবদান আসলেই উল্লেখযোগ্য।

    চীনের রাষ্ট্রীয় প্রাণী পরীক্ষা বিষয়ক কেন্দ্র চিকিত্সা গবেষণা ক্ষেত্রে একটি খুবই বিখ্যাত গবেষণাগার । ১৯৯৮ সালে এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, অসংখ্য বিজ্ঞানী এখান থেকে নানা ধরণের ইদুর নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক কাজ করেছেন।এ কেন্দ্রের উপপরিচালক ওয়াং চিন হেং বলেন" আমাদের কেন্দ্রের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রাণী সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে দেশি-বিদেশী গবেষণাকারীকে সংশ্লিষ্ট গুণগত মানের প্রাণী সরবরাহ করা। এক অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশের ২০টিরও বেশি প্রদেশ ও শহরের ৫০টিরও বেশি ইউনিটে গবেষনার জন্য প্রেরিত ইদুরের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।

    তিনি অবহিত করেন যে, পরীক্ষার জন্য প্রাণী হিসেবে ইদুরের ব্যাপক প্রাধান্য রয়েছে। এক হচ্ছে অনেক ইদুরের জিন মানুষের প্রায় অনুরুপ। আরেক হচ্ছে স্তণ্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে ইদুরের প্রজাননের শক্তি বিশাল। তাই ব্যাপক পরীক্ষার উপযোগী । এছাড়াও, ইদুর আকারে ছোট্ট , লালন-পালন সহজ এবং ওষুধ তার শরীরে প্রবেশ করলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

1 2