শ্রোতাবন্ধুরা, চীনের পশ্চিমাঞ্চলের মঙ্গোলিয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রথম যন্ত্র নির্মাণ লিমিটেড কোম্পানির প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় আমেরিকার একজন সোনালী চুল আর নীল চোখের শিক্ষিকাকে । তার একটি সুন্দর চীনা নাম আছে । তা হলো ছেন সি ইয়ু। তিন বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে এসেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য।
২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে ছেন সি ইয়ু ক্লোব রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশেনাল কোম্পানিতে যোগ দেন। এ কোম্পানির মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের পাঠানো। ছেন সি ইয়ু এ কোম্পানীর মাধ্যমেই চীনে চলে আসেন। আসলে এটি চীনে তাঁর প্রথমবারের মত আসা নয়। ২০০৪ সালে তিনি চীনে দু'মাস ইংরেজি প্রশিক্ষণ শিবিরে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মাত্র দু'মাস সময়েই চীনকে এবং চীনা শিশুদেরকে তাঁর অনেক ভাল লেগে যায়। তিনি বলেন:" আমি চীনা ছেলেমেয়েদের পছন্দ করি। এ জন্য স্বদেশে ফিরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জনের পর ভাবতে থাকি যে, পুনরায় কোন একদিন চীনে ফিরে চীনা ছেলেমেয়েদেরকে পড়াবো ।"
শুরুর দিকে ছেন সি ইয়ু কম্পিউটারে চীনের উপকূলীয় শহর তা লিয়ানের বেশ কিছু তথ্য দেখে সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তবে কোম্পানি তাঁকে মঙ্গোলীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বাও থৌ শহরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ জন্য তিনি আবার কম্পিউটারে বাও থৌ শহরের সংশ্লিষ্ট তথ্য খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কম্পিউটারে তিনি দেখতে পান যে, পাওর্থোতে বালিঝড় এবং তীব্র শীত ছাড়া কিছুই নেই । তা সত্ত্বেও ছেন সি ইয়ু লাগেজ নিয়ে নিজেই চীন চলে আসেন। তিনি বলেন:" বাও থৌ পৌঁছার পর আমার প্রথম অনুভুতি হলো এটি একটি খুবই ছোট্ট শহর। এখানে উচ্চ ভবন নেই এবং অধিবাসীর সংখ্যাও বেশি নয়। তবে বাস করে শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছার পর, আমি বুঝেছি , বাও থৌ একটি দ্রুত উন্নয়নশীল শহর। তিন বছরের মধ্যে এখানে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাও থৌ শহর সবসময় ভালোর দিকে এগুচ্ছে।"
1 2
|