'বড় গরম পাত্রের' কাছে মাটির তাপমাত্রাও বেশি, স্থায়ীভাবে বসবাসকারী লোকেরা সবসময় ডিমগুলো মাটির নিচেপুতে রাখেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা সেদ্ধ হয়ে যায় । খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে । 'বড় গরম পাত্রের' ইতিহাস সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে বলেন, অতীতকাল থেকেই বলা হয়, একটি ছোট গরু পাহাড়ের ওপর বড় গরম পাত্রে পড়ে গেছে । মাত্র ৪ বা ৫ মিনিটের মধ্যেই তা গলে যায় । শুধু তার হাড়গুলো থেকে যায় । তা থেকে বোঝা যায় পানির তাপমাত্রা কত গরম? তখন থেকেই লোকজন এ ঝর্ণাকে বড় গরম পাত্র বলে ডাকে ।
'বড় গরম পাত্র'ছাড়া , 'উষ্ণ জলাধারে ' নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছোট ঝর্ণাও রয়েছে । প্রাচীনকালে চীনের বিখ্যাত পর্যটনবিদ স্যু সিয়া খে তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে থেংছোংয়ের ছোট ঝর্না সম্পর্কে অনেক কথা লিপিবদ্ধ করেন । যেমন ধারাবাহিক ছোট ঝর্ণার মুখ নিয়ে গঠিত মুক্তা ঝর্না , ব্যাঙের আকারের মতো ঝর্ণা এবং দেবীদের স্নান করা সুন্দরী ঝর্ণা । 'বড় গরম পাত্রের' কাছে একটি 'গর্ভবতী কুপ' ঝর্ণা রয়েছে। তার পানির তাপমাত্রা ৮৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । তার আরেকটি নাম ড্রাগন ও ফিনিক্স কুপ । এ সম্পর্কে স্থানীয় অঞ্চলে একটি সুন্দর রূপকথা আছে । আমাদের গাইড মিস ইন বলেন, প্রাচীনকালে থেংছোংয়ের একটি ধনী পরিবারের ছেলে একজন সুন্দর তাই জাতির মেয়েকে বিয়ে করে । বিয়ের অনেক বছর পরেও তারা কোনো সন্তান জন্ম দেয় নি । ছেলের বাবা মা এ নিয়ে অনেক চিন্তা করে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কেরও অবনতি হয় । তারপর দম্পতি উষ্ণ জলের সমুদ্রে এসে সৌভাগ্য কামনা করে শ্রদ্ধানিবেদন করে । তারা প্রতিদিন এখানকার পানি খায় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে যায় । পরে এ ঝর্ণার নাম গর্ভবতী কুপে পরিণত হয় ।
থেংছোংয়ের ঝর্ণার প্রচুর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, ঝর্ণা শরীরের রাসায়নিক রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে সক্ষম এবং সন্ধিবাত ও হাড়ের যে কোন রোগের চিকিত্সার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করে বলে প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি । 1 2
|