চার বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর ২০০৮ সাল পেইচিং অলিম্পিক গেমসের অন্যতম প্রতীকিক্ষেত্র হিসেবে চীনের রাষ্ট্রীয় সাঁতার কেন্দ্র " ওয়াটার কিউব"-এর নির্মাণ কাজ ২৮ জানুয়ারী সকালে সম্পন্ন এবং ব্যবহার করা শুরু হয়েছে । ৩১ জানুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত" ওয়াটার কিউব"-এ প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতা--- ২০০৮ সাল উন্মুক্তসাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ।
"ওয়াটার কিউব" এবং তার পাশে অবস্থিত পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান ক্ষেত্র--"বার্ডনেস্ট" নামে জাতীয় স্টেডিয়াম পেইচিং অলিম্পিক গেমসের দুটি বড় প্রতীকি স্টেডিয়াম বলা হয় । পেইচিং অলিম্পিক গে মস চলাকালে " ওয়াটার কিউব"-এ সাঁতার , ডাইভিং এবং ওয়াটার ব্যালেপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে । এখানে আয়োজিত প্রতিযোগিতায়মোট ৪২টি স্বর্ণপদক প্রদানকরা হবে ।
জাতীয় সাঁতার কেন্দ্র একটি কিউব বিল্ডিং, তার বাইরে ১৪৩৭ টি বাষ্পের তৈরী বালিশ রয়েছে । নীল আকাশে সাদা মেঘের ছায়ায় হালকা নীল রঙের " ওয়াটার কিউব" যেন পেইচিংয়ের মাটিতে জমে থাকা অসংখ্য পানির বুদ্বুদ । ভেতরে ছড়িয়ে পড়া সূর্যের আলোয় উষ্ণতা ও আরাম লাগবে । স্বপ্নের মতো পানির দুনিয়ায় অবস্থান করে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জার্মান বার্তা সংস্থার বিল স্মিথ বলেন , কি চমত্কার । বিশ্বের অন্যান্য সাঁতার কেন্দ্রের তুলনায় বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর জাতীয় স্টেডিয়ামের তুলনায় এটি সত্যিই অতি অসাধারণ । নিঃসন্দেহে এটা প্রতিযোগী এবং দর্শকদের মনে গভীর রেখাপাত করবে ।
পেইচিংয়ের অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান লিউ ছি , পেইচিংয়ের মেয়র কো চিনলোং এবং হংকং , ম্যাকাও ,তাইওয়ান ও প্রবাসী চীনাদের চাঁদা সংগ্রহকারীদের প্রতিনিধিরা " ওয়াটার কিউব"-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে ভাইস মেয়র ছেন কাং ২০০৮ সালে চীনা উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান লি আইছিংয়ের কাছে " ওয়াটার কিউব" প্রকল্পের প্রমাণপত্র এবং স্বর্ণের চাবি হস্তান্তর করেন । এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাজ শুরু হওয়ার পর ৪ বছর ধরে নির্মাণ শেষে " ওয়াটার কিউব" আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো এবং এর ব্যবহারও শুরু হয়েছে ।
1 2
|