v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-28 15:50:51    
চীনের প্রতিনিধি দল পেইচিং অলিম্পিক গেমসের দ্বিতীয় পর্যায়ের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে উঠার চেষ্টা করবে

cri
চীনের ক্রীড়াবিদরা এথেন্স অলিম্পিক গেমসে বিরাট সাফল্য লাভ করেছিল। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রের বহু মানুষ মনে করেন, চীনা ক্রীড়াবিদরা পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ও আরো উত্কৃষ্ট সাফল্য লাভ করবেন। এমন কি স্বর্ণপদক তালিকার প্রথম স্থানে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু চীনের ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে এত আশাবাদী নন। চীনের জাতীয় ক্রীড়া ব্যুরোর উপপরিচালক ছুই তালিন বলেছেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমসে চীনের প্রতিনিধি দলের লক্ষ্য হল দ্বিতীয় পর্যায়ের দেশগুলোর প্রথম স্থানে উঠা। এখন শুনবেন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন।

১৯৮৪ সালে পুনরায় বিশ্ব গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবার পর চীনের ফলাফল সত্যিই মনে রাখার মত। বিশেষ করে ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিক গেমসের পর থেকে চীন প্রতিটি অলিম্পিক গেমসেই অধিক থেকে অধিকতর সাফল্য লাভে সক্ষম হয়েছে। ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক গেমসে চীন মোট ৩২টি স্বর্ণপদক লাভ করে স্বর্ণপদক তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে যায়। এ সংখ্যা রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যায়। তখন থেকে ক্রীড়া অনুরাগী বহু মানুষ মনে করেন। পেইচিং অলিম্পিক গেমসে চীন স্বাগতিক দেশ হিসেবে আরো বেশি সাফল্য লাভ করবে। এমন কি কেউ কেউ মনে করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে স্বর্ণপদক তালিকার প্রথম স্থানে উঠে যেতে পাবে। কিন্তু চীনের ক্রীড়া ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা এ মনোভাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন না। চীনের জাতীয় ক্রীড়া ব্যুরোর উপ পরিচালক ছুই তা লিন বলেছেন, চীনের ক্রীড়া প্রতিনিধি দলটি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রণবতায় এত আশাবাদী নয় তারা বাস্তবায় বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, 'আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বিরাট ব্যবধান রয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য দেশ আমাদের প্রতিপক্ষ হবে। জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ারও যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে। যেমন, জাপান গত অলিম্পক গেমসে ১৬টি স্বর্ণপদক লাভ করেছে। এটি হল জাপানের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার পর সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্য। জার্মানী হল ক্রীড়া ক্ষেত্রের শক্তিশালী দেশ ও প্রতিবারই অলিম্পিক গেমসে বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদক লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া হলাম প্রথম পর্যায়ের দেশ এবং আমরা হল দ্বিতীয় পর্যায়ের দেশ। আমাদের লক্ষ্য হল দ্বিতীয় পর্যায়ের গ্রুপের প্রথম স্থানে উঠা।'

অলিম্পিক গেমসে অর্জিত স্বর্ণপদকের সংখ্যা থেকে একটি দেশের সামর্থ্যকে বুঝতে পারা যায় না। যেমন, এথেন্স অলিম্পিক গেমস ২০০৪-এ চীনের অর্জিত পদকের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৪০টি কম ও রাশিয়ার চেয়ে ২৯ কম ছিল। ২০০৬ সালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চীন মোট ৭৯টি পদক লাভ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ১০৬ ও রাশিয়া ৮৩টি পদক লাভ করেছে। এ পরিসংখ্যান থেকে বোমা যায়। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বিরাট ব্যবধান রয়েছে।

ছুই তা লিন চীনের এ অবস্থা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের ট্র্যাক ও ফিল্ড, সাঁতার এবং ওয়াটার স্পোর্সে সুবিধা রয়েছে। কিন্তু ক্রীড়াদিবদের অবস্থান স্থিতিশীল নয়। ফুটবল, ভলিবল ও বাস্কেটবল ইভেন্টে আমাদের বিশ্বের আধুনিক দেশগুলোর সঙ্গে বিরাট ব্যবধান রয়েছে। চীনের উচিত উদ্যোক্তা দেশ হিসেবে স্থির মনোভাব নিয়ে অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়া।'

1 2