v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-22 17:21:29    
২০০৭ সালে হংকং ও তাইওয়ানের সংগীত জগত

cri

    ২০০৭ সাল ছিল তাইওয়ানের শিল্পী হো রুন তুংয়ের জন্য অতি স্মরণীয় একটি বছর। সাত বছর পর তিনি এ বছর আবার সংগীত জগতে ফিরে এসেছেন। তাঁর নতুন অ্যালবাম "তোমাকে বলতে চাই" সংগীতানুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। ২০০০ সালে হো রুন তুং গায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম অ্যালবাম "তোমার ভালোবাসার কথা ভাবি" প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর সুঠাম দেহ, সুন্দর চেহারা ও হৃদয়ষ্পর্শী গানের কারণে অসংখ্য তরুণীর মন সহজেই জয় করে নেন। এরপর তিনি চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয়ের ওপর গভীর মনোযোগ দেন। কিন্তু তাঁর মনে একটি স্বপ্ন থেকেই যায়। আর তা হলো আবার গানের ভূবনে ফিরে যাওয়া। ফলে ২০০৫ সাল থেকে তিনি নতুন অ্যালবাম "তোমাকে বলতে চাই" তৈরীর প্রস্তুতি শুরু করেন। ২০০৭ সালের প্রথম দিকে অ্যালবামটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায় এবং হো রুন তুং নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আনন্দকে খুঁজে পান।

    হো রুন তুং আর দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পী চাং না লা দ্বৈত কণ্ঠে এ গানটি গেয়েছেন। তারা গানের মধ্যে রোমান্টিক আমেজ সৃষ্টি করেছেন। গানের কথা এমনঃ "তোমার সেই ইশারা আর নেই। তাই তো সুখের পথের দিশা খুঁজে পাই না। তোমার কোলে মাথা রাখার অভ্যাসের কথা এখনো মনে আছে। নিশুতি রাতে আমি তোমাকে চুপি চুপি বলতে চাই, আগামী শতাব্দীর শেষ দিন পর্য্ন্ত তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেও না। তোমাকে ছাড়া তো আমার জীবন অর্থহীন।"

    বন্ধুরা, এতক্ষণ আমি তাইওয়ানের কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পীর কথা আপনাদের বললাম এবং তাদের কয়েকটি গান শুনালাম। কী, ভালো লেগেছেতো? তাহলে এবার হংকংয়ের প্রবীন শিল্পী থান ইয়ো লিনের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। গত শতাব্দীর ৭০ ও ৮০'র দশকে হংকংয়ের পপ সংগীত জগতে একটি পৌরাণিক কাহিনীর মতই থান ইয়ো লিন অভূতপূর্ব বিস্ময়ের সৃষ্টি করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এরপর থেকে তিনি একটানা বহু বছর ধরে "হংকংয়ের শ্রেষ্ঠ গায়ক" পুরস্কার পেয়ে এসেছেন এবং হংকংয়ের পপ সংগীত জগতের "বড় ভাই" এর মর্যাদা অর্জন করেছেন। গত শতাব্দীর ৯০'র দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি নবীন শিল্পীদের প্রশিক্ষণের ওপর নিজেকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর সাহায্যে লিউ দে হুয়া, লি মিং, কুও ফু চেন, লি কে ছিনসহ অনেক শিল্পীই খুব দ্রুত সংগীত জগতে পরিচিতি পেয়ে যায়। ফলে সব শিল্পীরা এখন সম্মানের সঙ্গে থান ইয়ো লিনকে স্কুলমাস্টার বলে ডাকেন।

    গত বছরের আগস্ট মাসে থান ইয়ো লিন "যিনি হাসিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন" শীর্ষক একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এ অ্যালবাম প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই এক লাখেরও বেশি লোক ইন্টারনেটের মাধ্যমে গানগুলো শুনেছেন। থান ইয়ো লিন এলবামের গানের মধ্য দিয়ে হাসি মুখে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চলা আর উত্তোরোত্তর আশাবাদকে সমন্বয় করে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করার কথা সুনিপুনভাবে প্রকাশ করেছেন।

    সুপ্রিয় বন্ধুরা, সুরের ভুবন আসরটি আজ এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)


1 2