ছেংতু শহর সিছুয়ান অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ৫০০ মিটার । এর আয়তন ১২.৬ হাজার বর্গকিলোমিটার, লোকসংখ্যা ১ কোটিরও বেশি । প্রাচীনকালে তুছিয়াংইয়ান জলসেচ প্রকল্পটি এখানে নির্মিত হওয়ার কারণে ছেংতু শহরে কোনো প্রকার বন্যা হয় না । তাই এটি নিরাপদ শহরে পরিণত হয়েছে । চীনের তিনটি রাজ্যের একীভূত শাসনামলে ছেংতু ছিল শু দেশের রাজধানী । ছেংতু শহরের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ২৩০০ বছরেরও বেশি । চীনের ছিন ও হান রাজবংশের সময় ছেংতু কৃষি ও কুটির শিল্পের সমৃদ্ধির কারণে বিখ্যাত শহরে পরিণত হয় । সোং রাজবংশের সময় ছেংতুতে চালু চিয়াওজি নামক কাগজের মুদ্রা হল বিশ্বের প্রথম কাগজের মুদ্রা । দক্ষিণ চীনের রেশম পথও শুরু ছেংতু শহর থেকে ।
ছেংতু শহরের প্রাকৃতিক সম্পদ প্রচুর। নানা ধরনের মূল্যবান গাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি দেয়া যায় । যেমন জিংকো গাছ পান্ডা,লাল পান্ডা এবং সোনালী বাঁদর ছাড়াও অনেক । এছাড়া চীনের ঐতিহ্যিক চিকিত্সা শাস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ধরনের ওষুধি উদ্ভিদও পাওয়া যায় । ছেংতু শহরের চিউচিয়াকৌ, এমেই পাহাড়, ইয়ানসি নদীর তিন গিরিখাত, ছিংছেং পাহাড় ও এওয়াং মন্দিরসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন বিশ্বের পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয় । বিশেষ করে চীনের মূলভূভাগ থেকে তিব্বতে যেতে হলে ছেংতু'র মধ্য দিয়ে যেতে হয় । এ কারণে এ শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিব্বতে ভ্রমণে আসা অনেক পর্যটক মালভূমির দৃশ্য দেখার পর ছেংতুতে এসে তার অববাহিকার বিশেষ দৃশ্য উপভোগ করেন ।
1 2
|