v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-08 19:43:37    
শুভ নববর্ষ

cri

    আমার শুভ কামনা, আপনাদের ইচ্ছার বাস্তবায়নে ২০০৮ সাল হয়ে উঠুক অতীতের সকল ব্যর্থতা আর যন্ত্রণাকে কটিয়ে ওঠার আনন্দময় ক্ষণ।

    বন্ধুরা, এখন আপনারা "শুভ নববর্ষ" গানটি শুনছেন। আমি এ গানের মধ্য দিয়ে আবারও নববর্ষের আগমনের অগনিত শুভ বার্তা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।

    গানের কথাগুলো এমন, 'শুভ নববর্ষ, আমার বন্ধু। তুমিতো জানো, নতুন বছর এসেছে, এই পৃথিবীও পরিবর্তিত হয়েছে। শুভ নববর্ষ, আমার প্রিয় মানুষ। জানি না, তুমি কবে আমার কাছে আসবে? আমিতো এখন একাকীত্বে ডুবে যাচ্ছি। শুভ নববর্ষ, আমার আত্মীয়। অনেক সময় আমি তোমাদের পাশে থাকতে পারি না। কিন্তু তোমরা সবাই ভালো আছো তো?'

    নববর্ষ হচ্ছে একটি চিরায়ত আন্তর্জাতিক উত্সব। সারা বিশ্বের জনগণ এই দিন নতুন বছরের আগমনকে অফুরন্ত আনন্দের মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। কিন্তু দ্রাঘিমার স্থানগত ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন দেশের নববর্ষের তারিখ এবং সময়ও একই নয়। যেমন ওশিয়েনিয়ার দ্বীপ দেশ টোংগা হচ্ছে পৃথিবীতে সবার আগে নতুন বছর আগমনের দেশ। আর পশ্চিম সামোয়া হচ্ছে পৃথিবীতে সবার শেষে নতুন বছরকে অভ্যর্থনা জানানো দেশ। চীন হচ্ছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো বিশ্বের দ্বাদশ দেশ।

    এখন আপনারা হংকংয়ের শিল্পী টুঈনসের গাওয়া 'সুখী বছর' নামক গানটি শুনছেন। আনন্দময় সুরের ভেতর যেন উত্সবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পী টুঈনস তার সুললিত কন্ঠের মাধ্যমে মানুষকে নতুন বছরের শুভ-কামনা জানিয়েছেন। গানের কথা এমন, 'ঐ শোন, ঢাকের শব্দ আসছে। এ যেন পুরোনো বছরকে বিদায় দেয়ার পালা শুরু হলো। দেখো, সবাই কতো খুশি, কতো আনন্দময় হয়ে উঠেছে। হৈ চৈ ও নাচ-গানের আওয়াজ আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ সবতো তোমার সুখী বর্ষের জন্যই ।'

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ নানা রকম বৈশিষ্ট্য আর পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের আগমনকে অভ্যর্থনা জানায়। যেমন বৃটিশরা নববর্ষের আগের দিন কিছু মদ ও মাংস রেখে দেয়। কারণ তারা মনে করে, যদি পুরোনো বছরের কিছু মদ ও মাংস জমা না থাকে, তাহলে নতুন বছরে দারিদ্রতা ঘীরে থাকতে পারে। তা ছাড়া , বৃটেনে নববর্ষের দিনে কূয়োর পানি আনার প্রথা প্রচলিত আছে। সবাই কূয়োর পানি আনার প্রথম ব্যক্তি হতে চান। কারণ, তারা মনে করে, প্রথম ব্যক্তির আনা কূয়োর পানি হচ্ছে সৌভাগ্যের পানি।

    নববর্ষে ব্রাজিলের মানুষজন জ্বলন্ত কাঠের টুকরো হাতে নিয়ে পাহাড়ে আরোহন করে। তারা সোনালী ফুলকে সুখী জীবনের প্রতীক হিসেবে সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কেবল সাহসী ব্যক্তিরাই এ ধরনের ফল সংগ্রহ করতে পারে। তারা এ তত্পরতাকে বলে 'সুখ খোঁজা'।

    থাইল্যাণ্ডে নববর্ষের অর্থ হচ্ছে পানি ছিটানোর উত্সব। এ দিন সবাই মিলে পরস্পরের গায়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। তারা হাসি মুখে আত্মীয়-স্বজনের নতুন বছরের সুখ-শান্তি কামনা করে এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দীর্ঘায়ুসহ সুস্বাস্থ্য কামনা করে। যাদের বিয়ে হয় নি, তারা পানি ছিটানোর মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার অনুভুতি প্রকাশ করে।

1 2