পশুপালকদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য স্থানীয় সরকার তাদেরকে যথাযথ ভর্তুকী প্রদান করেছে এবং নানা রকমের প্রশিক্ষণ দিয়েছে । তেনচেনছু বলেন , ছিংহাই হ্রদের পরিবেশ ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের আরো বেশি উন্নতি অন্বেষণ করা যাবে । তেনচেনছু'র গ্রামে কেউ কেউ চাকরির জন্য শহরে গিয়েছে এবং কেউ কেউ মাল পরিবহনের ব্যবসার জন্য গাড়ি কিনেছে । সবাই সচ্ছল হয়ে গেছে । তেনচেনছু'র স্ত্রী ইংসেন আবিষ্কার করলেন , তাদের বাড়ির সামনের মহাসড়কে মাঝে মাঝে পর্যটকবাহী গাড়ি যাতায়াত করছে । ফলে তিনিও পর্যটনের ব্যবসার কথা ভাবতেন ।
গ্রামের প্রধানরা তার এ পরিকল্পনাকে খুব সমর্থন করেন । তারা যেমনি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তাকে সাহায্য করেছেন , তেমনি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কর মওকুফ করে দিয়েছেন । এ ছাড়াও তারা পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য তাকে পশম দিয়ে বোনা একটি তাবুও উপহার দিয়েছেন । এর ফলে তেনচেনছু'র বাড়িতে গ্রামের প্রথম পশুপালক হোটেল গড়ে তোলা হয়েছে । ইংসেন বলেন , পশু পালনের পরিবর্তে হ্রদের সুষ্ঠু পরিবেশ আবার গড়ে তোলার কার্যক্রম চালু করার জন্য পশুপালকদের নির্দিষ্ট ভর্তুকী দেয়া হচ্ছে । এর পাশাপাশি তেনচেনছু ও তার পরিবার পরিজনরা হোটেল থেকেও বেশি আয় করেছেন । প্রতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে তারা ৪ হাজার ইউয়ানেরও বেশি আয় করেন ।
ইংসেন বলেন , হোটেলের ব্যবসা আরো ভাল হয়ে উঠছে । তাদের দুই সন্তানও স্কুলে ভর্তি হয়েছে । তারা শহুরে ছেলেমেয়েদের মতো লেখাপড়া করছে । সরকার তাদের লেখাপড়ার ফিও মওকুফ করে দিয়েছে ।
ইংসেনের ছোট ছেলের বয়স ১৩ বছর । সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ছে । পয়লা মে দিবসে সে ৩৭টি গাছ লাগিয়েছে । ছিংহাই হ্রদ আরো সুন্দর হয়ে উঠবে বলে সে আশা করে । গাছ লাগানো এবং বনাঞ্চল গড়ে তোলা ছিংহাই প্রদেশের পরিবেশ উন্নত করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা । গত ১০ বছর ধরে এ প্রদেশে সাড়ে ৯ লাখ হেক্টর জমিতে বনাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে । এ সংখ্যা ১০ বছর আগের তুলনায় ৩০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে । 1 2
|