এক দিন বুড়োবুড়ি দুজন ছিয়েন ছাওছুন নামে এক ছেলেকে দেখতে আসেন। ছেলেটি ১০ বছর আগে থেকে হুয়াং পিনের আর্থিক সাহায্য পেয়ে আসছে । তখন ছেলেটি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছিল । বাবা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, বাড়িতে মা ও ছোটো বোন আছে । ছাওছুনের মা স্মরণ করে বলেন, যখন প্রবীন হুয়াং ও হু আসেন তারা এক হাজার ইউয়ান নিয়ে আসতেন । এখন ছাওছুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে । গত ১০ বছরে তারা আত্মীয়স্বজনের মতোই আসা-যাওয়া করতেন । ছাওছুন বলে ,সে এখন বিদেশী ভাষা শিখছে । পড়াশুনার পাশাপাশি সে গৃহশিক্ষকের কাজ করে মাসে তিন-চারশ' ইউয়ান পায় । দাদাদাদি হুয়াং আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছেন । এখন আমাদের অবস্থা অনেক ভাল হয়েছে । তাই তাদের সাহায্য আর গ্রহণ করা উচিত নয় । কিন্তু ছাওছুনের বাড়ি ত্যাগের সময় বুড়ো হুয়াং চুপিচুপি হাজার ইউয়ান ছাওছুনের বাড়ির টেবিলে রেখে যান ।
ছাওছুনের বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর বুড়ো দাদা হুয়াং ও দাদি হু তাদের প্রতি দিনের কাজ শুরু করেন --চিঠি পড়া ও চিঠির উত্তর দেওয়া । বয়সের কারণে প্রবীণ হুয়াং যখন চিঠি লিখেন তখন তার হাত কেঁপে উঠত এবং একটি চিঠি সম্পন্ন করতে তার খুব কষ্ট হতো । তাহলেও তিনি চিঠি শেষ করার চেষ্টা করেন । চিঠি পাঠানোর সময় তিনি খামের ভেতরে একটি ডাকটিকিটও পাঠাতেন। যাতে ছেলেমেয়েদের ডাকটিকিট কেনার খরচ বাঁচতে পারে ।
স্ত্রী হু রুইচি সারা জীবন স্বামী হুয়াং পিনের অনুরাগী ছিলেন । তার চোখে স্বামী সবসময় এক নিখুঁত মানুষ । স্বামী যা করেন তিনি আনন্দের সঙ্গে তাঁকে সাহায্য করেন । বুড়োবুড়ি দুজনের আচরণে নিংপো শহরের আরও বেশি লোক গরিব ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করার সারিতে যোগ দেন । ১৮ আগষ্ট দুই বুড়ো মানুষের কাছে এক বিশেষ দিন । ১৭ হাজার আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন ছেলেমেয়ের তথ্য শহরের ময়দানে দেয়া আছে । তারা স্নেহপূর্ণ লোকদের আর্থিক সাহায্যের অপেক্ষা করছে । নাগরিকরা ময়দানে এসে সাহায্যপ্রয়োজন এমন ছেলেমেয়েকে বেছে নেন । সেই দিন শেষে ১৭ হাজার সাহায্যপ্রয়োজন ছেলেমেয়ে সবাই আর্থিক সাহায্যকারীর সঙ্গে দেখা করেছে এবং আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে । 1 2
|