v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-04 20:32:44    
৮০ বছর বয়সী এক দম্পতির কাহিনী

cri

    চীনের চেচিয়াং প্রদেশের নিংপো শহরে সামরিক শাখা এলাকার ক্যাডার স্বাস্থ্যনিবাসে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ সামরিক হুয়াং পিন ও তার স্ত্রী হু রুইচি বসবাস করেন । তরণ বয়সে হু পিন যুদ্ধ করেছেন এবং অনেক কৃতিত্ব স্থাপন করেছেন । স্বামী-স্ত্রী দুজনই সহযোদ্ধা । হু রুইচি সৈন্যবাহিনীর হাসপাতালে কাজ করতেন । গৌরবের ইতিহাসের কারণে তারা সবার শ্রদ্ধা পেয়েছেন । আজ তারা দুজন আবার নিংপো শহরে বিখ্যাত মানুষ হয়েছেন । বুড়ো বয়সে তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারণটা কী ?

    আগষ্ট মাসের এক রবিবার নিংপো শহরের গণ সরকারের উদ্যোগে থিয়েনই ময়দানে "সুষম নিংপো, দশ হাজার মানুষের চাঁদা" নামে অনুষ্ঠান হাজার হাজার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । হুয়াং পিন ও হু রুইচি সাহায্য প্রয়োজন ছেলেমেয়েদের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন । আসলে কয়েক দিন আগে ওরা দুজন দারিদ্র্য বিমোচন অফিসের মাধ্যমে সাহায্যপ্রয়োজন ১০জন ছেলেমেয়েকে বেছে নিয়েছেন । আজ ময়দানে আসা মাত্র দুজন বুড়বুড়ি আবার কুইচৌ প্রদেশের একটি মেয়েকে বেছে নেন । দারিদ্র্য এলাকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক বলতে গেলে হুয়াং পিন ও হু রুইচি তাদের পেছনের কথা না বলে পারেন না ।

    হুয়াং পিনের বয়স ৮৩ বছর । ১৯ বছর বয়সে বিপ্লবে যোগ দেন এবং হুয়াইহাই খন্ডন যুদ্ধ সহ কয়েক ডজন ছোটো বড় খন্ডন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন । মুক্তির পর তিনি চেচিয়াং সামরিক এলাকার রাজনৈতিক সদস্য হন । সৈন্য নিয়োগ করা তার প্রধান দায়িত্ব । স্ত্রী হু রুইচির বয়স ৭৮ বছর । স্বামীস্ত্রী দুজন নিংপো শহরে চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন । তাদের তিন ছেলেমেয়ে আছে । বাবা সৈন্য নিয়োগ করার দায়িত্ব পালন করলেও সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে ছেলে বাবার কোনো সাহায্য পাবে না । তিনি বলতেন ,তোমাদের নিজেদের ওপর নির্ভর করতে হবে । এই বড় সমাজে তোমাদের নিজেদের অনুশীলন করতে যেতে হবে ।

    ১৯৯২ সালে অবসরপ্রাপ্ত হুয়াং পিন নিংপো শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলের উপদেষ্টা পদে নিয়োগকালে এক দিন তিনি জানতে পারলেন , চেচিয়াং প্রদেশের যুব তহবিল সংস্থা দারিদ্র্য পাহাড়ী এলাকার ছেলেমেয়েদের পুনরায় স্কুলে ফিরে আসতে সাহায্য করার আহবান জানিয়েছে । এর পর হুয়াং পিন ও হু রুইচি দারিদ্র্য ছেলেমেয়েদের সাহায্য করার ব্রত শুরু করেন । এই কাজটিকে তাদের ব্রত বলে আখ্যায়িত করার কারণ হল, গরিব ছেলেমেয়েদের আর্থিক সাহায্য করা ধীরেধীরে তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরত্বুপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে । বুড়ো হুয়াং বলেন , গরিব ছাত্রছাত্রীকে আর্থিক সাহায্য করা দারিদ্র্য বিমোচন নয় । আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল নতুন প্রজন্মকে ও দক্ষ মানুষকে লালনপালন করা ।

    বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে ছোটোবেলা থেকেই হুয়াং দাদার আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকে । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি বছর বুড়োবুড়ি দুজন তাদের সাহায্যপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের জীবিকার খরচ পাঠান । ১৫ বছর পার হয়ে গেছে । এই ১৫ বছরের মধ্যে বুড়ো স্বামী-স্ত্রী দুজন মোট ১৫০জন ছেলেমেয়েকে আর্থিক সাহায্য করেছেন । এদের মধ্যে যে ৫জন ছেলেমেয়ে ছোটো বেলা থেকেই হুয়াং দাদার আর্থিক সাহায্য পায় তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে । এই জন্যে প্রবীণ হুয়াং পিন ও হু রুইচি নিংপো শহরে বিখ্যাত মানুষ হিসেবে পরিচিত হন ।

    প্রবীণ হুয়াং পিন ও হু রুইচি যাদেরকে সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে চেচিয়াং , ছুংছিং, কুইচৌ, তিব্বত ও সিনচিয়াংসহ নানা অঞ্চলের ছেলেমেয়ে আছে। বিগত দশ-বারো বছরে বুড়োবুড়ি দুজন প্রায়ই ট্রেনে করে নিজের তৈরী খাবার নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছেলেমেয়েদের দেখতে যান ।

1 2