বাণিজ্য উপ মন্ত্রী ইয়ু কুয়াং চৌ চীন ও দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোর বাণিজ্যিক সহযোগিতার ভূভাগীয় সুবিধা ও মৈত্রীর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেছেন । তা ছাড়া , সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো অনেক সুবিধা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন :
(চীনে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা চীনের উপ বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়ু কুয়াং চৌকে উপহার দিচ্ছেন)
২০০৬ সালের জুলাই মাসে চীন সার্কের পর্যবেক্ষক দেশ হয়েছে । আঞ্চলিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীন ও দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর নতুন অগ্রগতি হয়েছে । গত বছরের ১ জুলাই চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি অবাধ বাণিজ্য চুক্তিও কার্যকর হয়েছে । চীন ও ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্যের কার্যকারীতার ওপর গবেষণাও ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে । তা ছাড়া , দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোয় চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজি বিনিয়োগ ও শ্রম সহযোগিতাও সুষ্ঠুভাবে চলছে । গত ৮ বছরে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের বাণিজ্যিক মূল্য আগের ৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে । দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর সঙ্গে চীনের প্রকল্প ঠিকাদার মূল্য ২০০০ সালের ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে ।
(উপ বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়ু কুয়াং চৌ বাংলাদেশের পণ্য দেখছেন)
উল্লেখ্য , চীন ও দক্ষিণ এশিয় দেশগুলো ২.৭ বিলিয়ন লোকসংখ্যার একটি বাজার সৃষ্টি করেছে । তাই দু'পক্ষের সহযোগিতার সুপ্তশক্তি সম্ভাবনাময় । তবে এর পাশা পাশি দু'পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতার সমস্যাও দেখা যায় । চীন এর ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় । এ সমস্যা সমাধানের জন্য চীন দক্ষিণ এশিয় দেশ থেকে আমদানি বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইতিবাচক ব্যবস্থা নিয়েছে । এ প্রেক্ষাপটে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর পণ্য মেলার আয়োজন করে ।
1 2 3 4
|