v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-02 21:52:04    
বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত চেং ছিং তিয়ানের দেয়া ২০০৮ সালের নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী

cri

     চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ত্রিশ বছরেরও বেশি সময়ে দু'দেশের নেতৃবৃন্দ বহু বার সফর বিনিময় করেছেন। বিশেষ করে ২০০৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দু'দেশের মধ্যে সুদীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক পারস্পরিক উপকারিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি সহযোগিতামূলক প্রকল্পও কার্যকর করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর চীন সরকার বাংলাদেশকে দেয়া বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ জন নিয়ে এসেছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট দু'পক্ষের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিনিময়ের জন্য আরেকটি সুষ্ঠু প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছে। দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মূল্য ছিল ৩১৯ কোটি মার্কিন ডলার। পুঁজি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ৫০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের তৃতীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

    এ পর্যন্ত চীন বাংলাদেশে পাঁচটি মৈত্রী সেতু নির্মাণ করে দিয়েছে। ষষ্ঠ সেতুটি আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। এই মৈত্রী সেতুগুলো বাংলাদেশের পরিবহন ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় জনসাধারণ এই সেতুগুলোকে "বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু" ডাকে। তা ছাড়া চীনের সাহায্যে নির্মিত ২০ হাজার বর্গমিটার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এই সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে নানা বড় আকারের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক প্রদর্শনি অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, চীন ও বাংলাদেশ উভয়েই উন্নয়নশীল দেশ। জনবহুল ও বুনিয়াদী ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় অবস্থা। দু'দেশ অর্থনীতির বিকাশ ও দেশকে গড়ে তোলার অভিন্ন দায়িত্বের সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে আমাদের উচিত পরস্পরকে সাহায্য ও সমর্থন করা। চীন হচ্ছে বাংলাদেশের সবসময়ের আন্তরিক বন্ধু ও উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশ সর্বদাই চীনের নির্ভরযোগ্য বন্ধু। ২০০৭ সালের বন্যা ও টাইফুন আমাদের মৈত্রীকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। আমি বিশ্বাস করি, পরবর্তী বছর দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতি স্থিতিশীল হোক, অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হোক এবং জনগণের জীবনযাত্রা সুখ-শান্তিময় হোক।

    অবশেষে আমি রেডিও এর সামনে বসে থাকা নতুন ও পুরোনো শ্রোতাবন্ধুদের অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নিঃস্বার্থ চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রীর জন্য অবদানের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার প্রতি আমার শুভ নববর্ষ এবং কামনা করি সুখ ও শান্তিতে ভরে উঠবে আগামী বছরটি। চীন ও বাংলাদেশ মৈত্রী জিন্দাবাদ।


1 2