v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-02 21:52:04    
বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত চেং ছিং তিয়ানের দেয়া ২০০৮ সালের নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী

cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধু ও বাংলাদেশের ভাই বোনরা,

    পর্যাপ্ত সাফল্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেলো ২০০৭ সাল। বসন্তকে অভ্যর্থনা জানানোর আনন্দের সম্ভার নিয়ে ২০০৮ সাল শুরু হয়েছে। এই বিশেষ সময় আমি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের সকল কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সকল শ্রোতাবন্ধু ও আপনাদের পরিবারের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি, আপনাদের সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাবে এবং সব কাজ নিজের ইচ্ছা মতো সম্পাদনে সক্ষম হবেন।

    ২০০৭ সালে চীন অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ বছর চীনের অর্থনীতি কেবল স্থিতিশীলতার সঙ্গে দ্রুত বিকশিত হয়েছে তাই নয়, বরং কাঠামোর সুবিন্যাস ও মুনাফা বৃদ্ধির সুষ্ঠু প্রবণতাও বজায় থেকেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। এ বছর চীনের জি.ডি.পি প্রায় ১১.৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাত্ চীনের অর্থনীতিতে একটানা পাঁচ বছর ধরে ১০ শতাংশেরও বেশি জি.ডি.পি'র প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রথম দশ মাসে চীনের আমদানি ও রপ্তানীর মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ১.৭৫৯৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় তা ২৩.৫ শতাংশেরও বেশি। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে চীন বিজ্ঞান ও শিক্ষার ওপর নির্ভর করে দেশ গড়ে তোলার মূল নীতির ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করে আসছে। চীনের প্রথম চাঁদ অনুসন্ধান উপগ্রহ সাফল্যের সঙ্গে উত্ক্ষেপিত হয়েছে। উচ্চ মানের কম্পিউটার, সুপার শংকর ধান, তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল টেলিভিশনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে এবং নিজেদের উদ্যোগে নবায়ন ও উদ্ভাবনের সামর্থ্যও বেড়েছে। চীন সরকার চিকিত্সা ক্ষেত্রের কাজ জোরদার করেছে। চীনে এখন মোটামুটি শহর ও গ্রামাঞ্চলে আওতাধীন রোগ প্রতিরোধ ও তার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়াও আকস্মিক গণ স্বাস্থ্যহানি ঘটনার চিকিত্সা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

    ২০০৭ সালে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন হয়েছে। দু'দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা পাস্পরিক ভিত্তিতে আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী বিনিময়ের ক্ষেত্রও বেড়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা দ্রুত বিকশিত হয়েছে। এ বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় আমদানী ও রপ্তানীর মোট মূল্য ২৪৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পৌঁছে। তা গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে চীনের পুজিঁ বিনিয়োগ ধাপে ধাপে বাড়ছে এবং সুষ্ঠু অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের অধিক থেকে অধিকতর শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশাল বাজারে প্রবেশ করেছে।

    ২০০৭ সাল এক অসাধারণ বছর। এ বছর আমাদের এই দু'দেশ উভয়েই বন্যা ও তুফানের কারণে বিরাট ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু বন্যা ও তুফান দু'দেশের মধ্যে ভাই-ভাই সম্পর্কে বিঘ্নতার সৃষ্টি করে নি। আগস্ট মাসে বাংলাদেশের জনগণের বন্যা প্রতিরোধ ও ত্রাণ সাহায্য চীন সরকার, রেডক্রস সোসাইটি ও অন্যান্য সামাজিক সংস্থাসহ চীনা দূতাবাসের প্রতিটি কর্মকর্তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিল। আমরা বাংলাদেশকে মোট ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী অনুদান দিয়েছি। নভেম্বর মাসে তুমুল ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশের ওপর আঘাত হেনে জানমালের বিরাট ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। চীন সরকার আবারো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ১০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরী সাহায্য দিয়েছে। চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ও চীনা গণ মুক্তি ফৌজসহ নানা সংস্থা পৃথক পৃথকভাবে বাংলাদেশের জনগণের পুনর্বাসনের জন্য ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ও ১৬০০ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে।

    চীন ও বাংলাদেশের ভাইয়ের মতো সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। খ্রিস্টাব্দ ১১ শতাব্দীতে বাংলাদেশের অতীশ দীপঙ্কর চীনে এসে ১৭ বছর বাস করেছেন। চীনের পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ও চাং হো বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা দু'দেশের জনগণের মৈত্রী বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করার জন্য বিরাট অবদান রেখেছেন।

1 2